গ্রামীণফোন-রবিতে প্রশাসক নিয়োগে ‘বিদেশি বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হবে’

মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবিতে প্রশাসক নিয়োগ করা হলে তা বিদেশি বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করবে বলে উদ্বেগ জানিয়েছে বিএনপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Nov 2019, 04:52 PM
Updated : 2 Nov 2019, 04:52 PM

শনিবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, “গ্রামীণ ফোন ও রবিতে সরকারি প্রশাসক নিয়োগ করার প্রক্রিয়া চলছে। আমরা মনে করি যে, এই ধরনের প্রক্রিয়া বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করবে এবং একটা প্রকৃতপক্ষে সরকার যে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে, সেই জড়িয়ে পড়ার আরেকটা ক্ষেত্র তৈরি হবে।

“গ্রামীণফোন ও রবির মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এতে সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”

নিরীক্ষা আপত্তির অর্থ নিয়ে বহু দিন ধরে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ বিটিআরসির সঙ্গে দেশের বড় দুই মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবির টানাপড়েন চলছে।

গ্রামীণফোনের কাছে ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে দাবি করে আসছে বিটিআরসি। তবে গ্রামীণফোন ও রবি ওই নিরীক্ষা প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে।

দুই পক্ষের অনমনীয়তার মধ্যে গত মাসে বিটিআরসি এবং গ্রামীণফোন-রবির শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে দুই দফা বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল।

কিন্তু তারপরও সঙ্কটের সুরাহা না হওয়ায় গ্রামীণফোন ও রবিতে প্রশাসক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরুর কথা সম্প্রতি জানায় বিটিআরসি।

অন্যদিকে তার আগে বিটিআরসির কাছ থেকে লাইসেন্স বাতিলের নোটিস পেয়ে আদালতে গিয়েছিল মোবাইল অপারেটররা। তার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি এখনও হয়নি।

এখন আদালতের মাধ্যমেই এ বিষয়ের সুরাহা হবে বলে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন।

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠকে দলের মহাসচিব ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।