৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭০০ বিঘা ফসলি জমিতে পেঁয়াজসহ নয়টি ফসল উৎপাদনে বিনামূল্যে বীজ, সার ও পরিবহন বাবদ এই নগদ অর্থ দেওয়া হবে।
বুধবার সচিবালয়ে কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রম নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে দেশের ৬৪ জেলায় ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এই প্রণোদনা পাবে। প্রতিটি কৃষক পরিবারকে সর্বোচ্চ এক বিঘা জমির জন্য বিনামূল্যে বীজ ও সার (ডিএপি ও এমওপি) এবং পরিবহন খরচ দেওয়া হবে।
বর্তমান রবি মৌসুমে গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, শীতকালীন মুগ, পেঁয়াজ ও পরবর্তী খরিপ-১ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন মুগ ও গ্রীষ্মকালীন তিল উৎপাদন বাড়াতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।
স্থানীয় কৃষি অফিসের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকেদের তালিকা অনুযায়ী প্রণোদনা দেওয়া হবে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, “বীজ ও সার প্যাকেট হিসেবে দেওয়া হবে। পরিবহন খরচ তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়া হবে।”
অন্যান্য ফসলের সঙ্গে এবার পেঁয়াজে কৃষক প্রতি এক বিঘা জমির জন্য এক কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার পাবে। সব মিলে এই আর্থিক সহায়তার পরিমাণ হবে এক হাজার ৭১৪ টাকা।
এ কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে প্রতি এক টাকা ব্যয়ের বিপরীতে এক টাকা ৮৩ পয়সা আয় হবে বলে সরকার আশা করছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ উৎপাদনের সময় অর্থাৎ ফসল ওঠার সময় যেন আমদানি না হয় সে ব্যাপারেও উদ্যোগ নেওয়া হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।