রূপপুরের নিরাপত্তায় প্রকল্প অনুমোদন

রূপপুরের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা অবকাঠামোর উন্নয়নে দেড় হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Oct 2019, 12:32 PM
Updated : 29 Oct 2019, 12:32 PM

‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পারমাণবিক নিরাপত্তা তদারকিকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নিউক্লিয়ার রেগুলেটরি ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি মঙ্গলবার অনুমোদন পায়।

প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৭১০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা; এটি বাস্তবায়ন করবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শেরে বাংলা নগরের এনইসিতে একনেক সভার পর পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা অবকাঠামো উন্নয়নের উদ্দেশ্যেই এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে।

এই প্রকল্পটির মাধ্যমে পারমাণবিক নিরাপত্তা ও বিকিরণ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ধরনের নীতিমালা, প্রবিধান প্রণয়ন এবং প্রয়োগ করার অবকাঠামো তৈরি করা হবে বলে জানান তিনি।

পারমাণবিক প্রকল্পে দীর্ঘমেয়াদী উৎপাদনে উপকরণ, জ্বালানি উত্তোলন পর্যায় এবং পরিচালনা পর্যায়ে পরিদর্শন পরিচালনাও এ প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য।

প্রকল্প প্রস্তাবে আরও বলা হয়, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন পর্যায়ের লাইসেন্স অনুমোদন সংক্রান্ত প্রাথমিক ও চূড়ান্ত নিরাপত্তা প্রতিবেদন মূল্যায়ন ও মান নিশ্চিত করা এ প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য।

প্রকল্পটির ৭০ শতাংশের বেশি বা প্রায় এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা পরামর্শক ব্যয় বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এবিষয়ে মন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “আমরা পরামর্শক নিতে বাধ্য। কারণ এখনও পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ও এর নিরাপত্তার বিষয়ে আমাদের দক্ষ লোকজন তৈরি হয়নি। তাই পরামর্শক ব্যয় আমরা এড়াতে পারি না।”

বৈঠকে এটিসহ ১১ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ের মোট ১০টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৮ হাজার ২৭১ কোটি টাকা সরকারি তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে, বাকি ৩ হাজার ১৯৬ কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা হিসেবে আসবে।

অনুমোদিত প্রকল্পগুলো

>> ‘বাংলাদেশে ০৪টি মেরিন একাডেমি স্থাপন (পাবনা, বরিশাল, সিলেট ও রংপুর) (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্প। ব্যয় ৫২১ কোটি টাকা।

>> ‘কিশোরগঞ্জ (বিন্নাটি)পাকুন্দিয়া-মির্জাপুর-টোক জেলা মহাসড়ককে যথাযথমানে উন্নীতকরণ’  প্রকল্প। ব্যয় ৭২৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।

>> ‘ঢাকা-আরিচা-মহাসড়কের আমিনবাজার, সালেহপুর ও নয়ারহাটে ৩টি সেতু নির্মাণ’ প্রকল্প। ব্যয় হবে ৩৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

>> ‘স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইআইপি) (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প। ব্যয় হবে ৩ হাজার ৭১২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

>> ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১’ প্রকল্প। ব্যয় ১ হাজার ৭৬১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।

>> ‘ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে বৃহত্তর রংপুর জেলায় সেচ সম্প্রসারণ’ প্রকল্প। ব্যয় ২৫০ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।

>> ‘পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি প্রকল্প-৩ (আরইআরএমপি-৩)’ প্রকল্প। ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭২৩ কোটি টাকা।

>> ‘শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার পদ্মা শাখা নদীর ডান তীরের ভাঙ্গন হতে নওয়াপাড়া এলাকা এবং পদ্মা নদীর বাম তীরের ভাঙ্গন হতে চরআত্রা এলাকা রক্ষা’ প্রকল্প। ব্যয় ৫৫৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা।

>> ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর-এ পানি শোধনাগার ও গভীর নলকূপ স্থাপন’ প্রকল্প। ব্যয় ৬৩২ কোটি ৮২ লাখ টাকা।