কার্যকর বন্ড মার্কেটের বিকল্প নেই: বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান

কার্যকর বন্ড মার্কেট গড়ে না তুললে বাংলাদেশে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য অর্থের একটা বড় অংশ যোগাড় করা কঠিন হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Oct 2019, 01:01 PM
Updated : 10 Nov 2019, 01:02 PM

শনিবার রাজধানীতে এক গোল টেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে একটি কার্যকর বন্ড মার্কেটের কোনো বিকল্প নেই। একটি বন্ড মার্কেট সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশের সরকার খুবই আন্তরিক।”

বাংলাদেশে বন্ডের একটি বাজার গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সোনারগাঁও হোটেলে সেমিনারটির আয়োজন করে সিটি ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্স লিমিটেড।

বন্ড মার্কেটের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে সিরাজুল ইসলাম একটি গবেষণার তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি জানান, গ্রান্টকো নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের বন্ড মার্কেট নিয়ে একটি গবেষণা করে দেখিয়েছে ২০১৬ থেকে ২০৪০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ৬০৮ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ সাধারণ নিয়মে ৪১৭ বিলিয়ন ডলার যোগাড় করতে পারবে। প্রায় ১৯২ বিলিয়ন ডলার ঘাটতি থাকবে।

“ঘাটতির টাকা একটি কার্যকর বন্ড মার্কেট ছাড়া সংগ্রহ করা বাংলাদেশের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন হবে। এ কারণে বাংলাদেশ অবশ্যই একটি কার্যকর বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে হবে,” বলেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান।

আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এরশাদ হোসেন।

বিভিন্ন দেশের বন্ড মার্কেটের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার জিডিপি ৩৫৪ বিলিয়ন ডলার আর তাদের বন্ড মার্কেট প্রায় ১৬৯ বিলিয়ন ডলারের, যা কিনা জিডিপির প্রায় ৪৮ শতাংশ। 

ভারতে জিডিপির আকার ২৭১৯ বিলিয়ন ডলার, সেখানে বন্ড মার্কেট আছে প্রায় ৪৩১ বিলিয়ন ডলারের, যা জিডিপির প্রায় ১৬ শতাংশ।

ফিলিপিন্সে জিডিপি হচ্ছে ৩৩১ বিলিয়ন ডলারের, আর বন্ড মার্কেটের আকার হচ্ছে প্রায় ২৪ বিলিয়ন ডলারের, যা জিডিপির প্রায় ৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

এরশাদ হোসেন বলেন, “কিন্তু বাংলাদেশের জিডিপি হচ্ছে ২৭৪ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে বন্ড মার্কেটের আকৃতি হচ্ছে মাত্র তিন বিলিয়ন ডলারের, যা কিনা জিডিপির মাত্র এক শতাংশের কাছাকাছি।”

বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী বন্ড মার্কেট গড়ে তোলার বড় সুযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।

গোলটেবিল আলোচনায় এনবিআর,অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা যোগ দেন।