বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) মিলনায়তনে ‘বৈদেশিক বাণিজ্যে ডলারের ব্যবহার : কোনো বিকল্প আছে কী?’ শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনা হয়।
এতে মূল প্রবন্ধে বিআইবিএম অধ্যাপক ড. আহসান হাবিব বলেন, বিশ্ববাণিজ্যের বিনিময় মুদ্রা হিসেবে মার্কিন ডলারের আশে পাশে কোনো মুদ্রা নেই। পৃথিবীর মোট বাণিজ্যিক লেনদেনের ৯০ শতাংশই ডলারে বিনিময় হয়। ডলারের পরের মুদ্রার অবস্থান হচ্ছে সর্বোচ্চ ৩ থেকে ৪ শতাংশ।
বাংলাদেশে ডলারের ওপর চাপ বাড়ার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, এই চাপ কমাতে হলে আঞ্চলিক মুদ্রা বিনিময় ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
“বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো নিয়ে একটি অভিন্ন মুদ্রা গড়ে তুলতে পারলে আমাদের আমদানি বিলের একটা অংশ অন্তত ডলার ছাড়া অন্য একটি বিনিময় মাধ্যমে করা সম্ভব হত। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে যে আমদানি-রপ্তানি হয়, তৃতীয় কোনো অভিন্ন মুদ্রা প্রবর্তন করা সম্ভব হলে আমাদের রিজার্ভ আরও শক্তিশালী হত।”
কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় তা যে সম্ভবপর নয়, তা উঠে এল তার কথায়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জমান বলেন, “বৈদেশিক বাণিজ্যে ডলারের বিপরীতে অন্য কোনো মুদ্রা না থাকায় আমাদের সমস্যা হচ্ছে। এতে প্রতিনিয়ত ডলারের উপর চাপ বাড়ে।
“আমাদের বড় একটা রপ্তানি বিল পরিশোধ করতে হয় এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিটের (আকু) মাধ্যমে। এই বিল পরিশোধ অন্য মুদ্রায় করতে গেলে নানা রকম শুল্ক ও অশুল্ক বাধায় পড়তে হয়।”
তিনি বলেন, “ডলারের বিপরীতে অন্য কোনো মুদ্রার ওপর এতটাই আস্থানহীতা রয়েছে যে কেউই রপ্তানি বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে অন্য কোনও মুদ্রা বিনিময় ব্যবস্থায় আস্থা রাখেন না।”