২০৮ কোটি টাকায় জেদ্দায় চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স করবে সরকার

সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহায়তা দিতে সৌদি আরবের জেদ্দায় চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Oct 2019, 11:25 AM
Updated : 22 Oct 2019, 11:25 AM

এজন্য প্রায় ২০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশ চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স নির্মাণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “জেদ্দা শহরে এবং শহরের বাইরে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাজের পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়তা করতে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।”

এছাড়া হজ ও ওমরাহ পালনের জন্য যাওয়া বাংলাদেশিদের সহায়তা ও ভবিষ্যতের চাহিদা অনুযায়ী ভৌত অবকাঠামো সুবিধা সৃষ্টিও এ প্রকল্পের আরেকটি উদ্দেশ্য বলে জানান মন্ত্রী।

জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের এই প্রকল্পটি ২০৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকায় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশের জন্য একটি স্থায়ী চ্যান্সেরি ও রাষ্ট্রদূতের বাসভবন নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে সৌদি সরকারের কাছ থেকে ১৫৪ কাঠা আয়তনের দুটি প্লট কেনা হয়েছে।

এ প্রকল্পের আওতায় তিনটি ভবন নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে মূল চ্যান্সিরি ভবনটি হবে তিনতলা বিশিষ্ট, যার আয়তন হবে ছয় হাজার ৩৫৪ বর্গমিটার।

এছাড়া ছয় হাজার ৬০ বর্গমিটার আয়তনের একটি অফিসার্স আবাসিক ভবন এবং ছয় হাজার ৩০০ বর্গমিটারের স্টাফ আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে।  

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, “প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের বিষয়ে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চ্যান্সেরি প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে ডিজাইন ও পরামর্শকসহ সবাই একসাথে গিয়ে যেন সমন্বয় করে কাজ করে, যাতে প্রকল্পটি কোনোভাবে অগোছালো না হয়।

“প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই কমপ্লেক্স প্রবাসীদের, তাই তারা যেন এখানে ফ্রি এক্সসেস পায়, পানি পায়, টয়লেট সুবিধা পায়। যেকোনো বাংলাদেশি ওখানে গিয়ে যেন ভালোভাবে বসতে পারে, সেটা নিশ্চিত করা। এজন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা থাকতে হবে।”

বৈঠকে এই প্রকল্পটিসহ চার হাজার ৬৩৬ কোটি ৮০ লাখ টাকার পাঁচটি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে-

>> বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র প্রকল্প (এমডিএসপি) প্রকল্প; এর ব্যয় তিন হাজার ১৭০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।

>> গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (রংপুর জোন) প্রকল্প; এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৯৯৪ কোটি টাকা।

>> দর্শনা-মুজিবনগর আঞ্চলিক মহাসড়ক (আর-৭৪৯) উন্নয়ন প্রকল্প; এর ব্যয় প্রায় ১৫০ কোটি টাকা।

>> চাষাড়া-খানপুর-হাজীগঞ্জ-গোদনাইল-আদমজী ইপিজেড সড়ক নির্মাণ প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা।