১৩ ডিজিটের ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া এলসি নয়

১৩ ডিজিটের ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া আর কোনো এলসি খোলা যাবে না।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Oct 2019, 03:04 PM
Updated : 7 Oct 2019, 05:20 PM

১ নভেম্বর থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সোমবার এক সার্কুলারের মাধ্যমে সব ব্যাংককে এ নির্দেশ মানতে বলেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অনুরোধে এ নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, নতুন ১৩ ডিজিটের মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট, অনলাইন) নিবন্ধন না থাকলে আগামী ১ নভেম্বর থেকে আমদানিকারকদের পক্ষে ঋণপত্র (এলসি) ইস্যু করা যাবে না।

এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর এনবিআরের ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের পরিচালক (কমিশনার) সৈয়দ মুসফিকুর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা দিতে বলেছিলেন।

এনবিআরে চিঠিতে বলা হয়েছিল,  গত ১ জুলাই থেকে মূসক বা ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক আইন কার্যকর হয়েছে। এটির ব্যবস্থাপনা অনলাইনভিত্তিক হওয়ায় এর আওতায় ভ্যাট নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্যভাণ্ডার হালনাগাদ করা দরকার। এ লক্ষ্যে সব করদাতাকে পুরনো ১১ অথবা ৯ ডিজিট বিশিষ্ট নিবন্ধন সংখ্যা গ্রহনের জন্য জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

নতুন এই নিবন্ধন নেওয়ার সর্বশেষ সময় ছিল ১৪ অগাস্ট।

কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, এ সময়সীমা উত্তীর্ণ হলেও বিভিন্ন কারণে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক করদাতা এখনও ১৩ ডিজিটের নিবন্ধন সংখ্যা গ্রহন করেননি। এতে সঠিক ভ্যাট আদায় কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। কারণ, ১৩ ডিজিটের নিবন্ধন সংখ্যা ছাড়া অনলাইনে মাসিক রিটার্ন দাখিল করা সম্ভব নয়।

এ পরিস্থিতিতে সকল পক্ষের বাস্তব সমস্যাগুলো বিবেচনায় নিয়ে এনবিআর নতুন ১৩ ডিজিট সম্পন্ন নিবন্ধন গ্রহনের সময়সীমা ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে।

“উক্ত তারিখের পর হতে কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক যেনো ১৩ ডিজিট সম্পন্ন ভ্যাট নিবন্ধন সংখ্যা ব্যাতিত কোনো আমদানিকারকের পক্ষে ঋণপত্র ইস্যু না করে।”

এনবিআরের এই নির্দেশনাই ব্যাংকগুলোকে মেনে চলতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।