অগ্রগতির পথ এত মসৃণ ছিল না: সালমান এফ রহমান

আওয়ামী লীগ সরকারের এই ১০ বছরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক যে অগ্রগতি হয়েছে, তা অর্জনের পথ মসৃণ ছিল না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Oct 2019, 07:21 PM
Updated : 4 Oct 2019, 07:28 PM

ইন্ডিয়া ইকোনোমিক সামিট উপলক্ষে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে তিনি একথা বলেছেন।

‘দ্য সিক্রেট টু বাংলাদেশ’স ইকোনোমিক সাকসেস? দ্য শেখ হাসিনা ফ্যাক্টর’ শিরোনামে এই নিবন্ধে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সফলতার দিকগুলো তুলে ধরতে গেলে পণ্ডিতরা বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ, অবকাঠামো উন্নয়ন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার মতো বেশ কিছু বিষয়ের কথা বলবেন।

“কিন্তু এই সব অর্জনের কোনোটিই সহজ ছিল না। শেখ হাসিনা সরকার যখনই নীতিগুলো প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে গেছে, প্রায়ই বিপুল রাজনৈতিক ঝুঁকি ও জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়েছে।”

এর উদাহরণ হিসেবে বিদ্যুৎ খাতের কথা তুলে ধরেন সালমান এফ রহমান।

তিনি বলেন, এক দশক আগে যখন আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতা গ্রহণ করল তখন দেশ শ্বাসরোধী বিদ্যুৎ ঘাটতিতে ধুঁকছে। সেখানে বর্তমানে রাতে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় চাহিদার চেয়ে বেশি এবং চিরতরে যে কোনো ধরনের বিদ্যুৎ ঘাটতি দূর করার কাছাকাছি পৌঁছেছে সক্ষমতা।

“২০০৯ সালে যখন তিনি ক্ষমতায় ফিরলেন, শেখ হাসিনা জানতেন যে, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার দিকে যাওয়ার আগে প্রথমে বিদ্যুৎ ঘাটতি একটি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে হবে। স্বল্পমেয়াদি পদক্ষেপ হিসেবে তিনি বিভিন্ন কোম্পানিকে কুইক রেন্টাল নামে স্বল্প ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দেন।”

বিভিন্ন পক্ষ থেকে ওই পদক্ষেপের সমালোচনা আসার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ছাড়াও অর্থনীতিবিদ থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যম ও গবেষণা সংস্থা এর সমালোচনায় সোচ্চার হয়, যাতে আমলাতন্ত্রের মধ্যেও অস্বস্তি তৈরি হয়।

“কিন্তু শেখ হাসিনা সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য যা সঠিক মনে করেছেন, তার থেকে পিছু হটেননি। বলিষ্ঠভাবে নিজের সিদ্ধান্তের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, কোনো ধরনের আইনি অস্পষ্টতা থাকলে তা দূর করতে সংশোধনী এনেছেন এবং সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।”

প্রায় ১০ বছর পর এখন ওই সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা নিয়ে কারও সংশয় নেই বলেই তার বিশ্বাস।    

একইভাবে বেসরকারি খাতের জন্য নতুন নতুন দিক উন্মুক্ত করা, টেলিযোগাযোগ খাতের একক ব্যবসা বন্ধ করে প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি করে ডেটা ও ভয়েস কলের মূল্য বিশ্বের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নিয়ে আসা, দুর্যোগ মোকাবেলার সক্ষমতা তৈরি, দাতাদের সাহায্যের দিকে তাকিয়ে না থেকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন- শেখ হাসিনার এ রকম নানা নীতি ও উদ্যোগের মাধ্যমেই বাংলাদেশ এই অবস্থানে পৌঁছেছে বলে উল্লেখ করেন সালমান এফ রহমান।