পথঘাট-নর্দমার উন্নয়নে ১৫ কোটি ডলার দেবে এডিবি

ঢাকা ও খুলনার আশপাশের যেসব শহর এলাকায় জনসংখ্যা বাড়ছে, সেসব এলাকার রাস্তাঘাট ও নর্দমার উন্নয়নে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) সরকারকে ১৫ কোটি ডলার দিচ্ছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Oct 2019, 06:53 PM
Updated : 1 Oct 2019, 06:53 PM
বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় এক হাজার ২৭৫ কোটি টাকা।

এর মধ্যে ৭ কোটি ৫০ লাখ ডলারের জন্য ২ শতাংশ সুদ দিতে হবে। আর বাকি ৭ কোটি ৫০ লাখ ডলারের জন্য লন্ডন আন্তঃব্যাংক সুদ হারের  (লাইবর) ছয় মাসের গড় সুদ হারের সঙ্গে ০.৫০ শতাংশ হারে সুদসহ ৫ বছরের রেয়াতকালসহ ৩০ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

বর্তমানে লাইবরের ছয় মাসের গড় সুদ হার ২ শতাংশের কিছু বেশি। হিসাব অনুযায়ী সব মিলে এ ঋণের জন্য প্রায় ৩ শতাংশের কাছাকাছি হারে সুদ দিতে হবে।

মঙ্গলবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) মধ্যে এই ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

চুক্তিতে ইআরডি সচিব মো. মনোয়ার আহমেদ এবং এডিবির আবাসিক প্রতিনিধি মনমোহন পারকাশ স্বাক্ষর করেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘সিটি রিজিওন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ শীর্ষক একটি প্রকল্পে এই ঋণের অর্থ ব্যয় করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় ঢাকার পাশের গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ এবং খুলনা সিটি করপোরেশনের পাশের ১৪টি পৌরসভা ও ৩টি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে।

প্রকল্পটির মাধ্যমে এসব এলাকার ৩৫৭ কিলোমিটার সড়ক, ১৫৩ কিলোমিটার নর্দমা, ১ হাজার ৭২২ মিটার সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করা হবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২২ কোটি ৩০ লাখ ডলার। এতে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার আর বাকি ১৫ কোটি ডলার এডিবি জোগান দিচ্ছে।

প্রকল্পটির আওতায় ঢাকা বিভাগের গাজীপুর সিটি কোর্পোরেশন ছাড়াও সাভার, ধামরাই, কালিয়াকৈর, কাঞ্চন, তারাব, সোনারগাঁও, সিংগাইর, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজারের রাস্তাঘাট ও ড্রেনের উন্নয়ন করা হবে।

অন্যদিক খুলনা সিটি করপোরেশনের  চালনা, যশোর, নোয়াপাড়া, ঝিকরগাছা ও মংলা শহরের উন্নয়ন করা হবে।

অনুষ্ঠানে মনোয়ার আহমেদ বলেন, “ঢাকা ও খুলনা পার্শ্ববর্তী শহরের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।”

মনমোহন পারকাশ বলেন, “এদেশের বড় বড় শহরগুলোর পাশের শহরগুলোও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। তাই এসব এলাকায় পরিকল্পিতভাবে জমি ব্যবহারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট নাগরিকদের জন্য বহুমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।”

স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে গৃহীত এ প্রকল্পটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।