তিনি বলেছেন, “আমাদের যে পরিমাণ বিনিয়োগ হচ্ছে, সেখানে আমরা শতভাগ মান নিশ্চিত করতে পারছি না। সেখানে ত্রুটি বিচ্যুতি আছে। যার কারণে আমাদের প্রবৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”
ক্যাসিনো বন্ধে অভিযানের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির যে কথা নিউ ইয়র্কে এক মতবিনিময় সভায় বলেছেন, সে বিষয়ে প্রশ্নে ওই কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে যে উদ্যোগ নিয়েছেন, সেজন্য তাকে ধন্যবাদ। আমি বিশ্বাস করি, তিনি সফল হবেন। এর ফলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে আগে যেখানে ৫ বছর পরে যেতাম, এখন সেখানে আমরা তিন বছরে যেতে পারব।”
বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের মান শতভাগ নিশ্চিত করতে না পারার জন্য অভিজ্ঞতার অভাবকেই দায়ী করেন মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, “বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করার অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে শতভাগ মান নিশ্চিত করতে পারছি না। আস্তে আস্তে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করব। তখন আমাদের এগুলো কমে আসবে।”
শেরে বাংলা নগরের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনসে তিরিংক এবং ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের (আইএফসি) কান্ট্রি ম্যানেজার ওয়েন্ডি ওয়ার্নারের সৌজন্য বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা হয় অর্থমন্ত্রী।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “তারা জানতে চেয়েছেন যে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি আগামীতে অব্যাহত রাখতে পারব কি না? আমি বলেছি চলতি অর্থবছরে আমাদের প্রবৃদ্ধি চলতি অর্থবছরে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ হবে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ডাবল ডিজিট প্রবৃদ্ধি অর্জন করব।”
কীভাবে তা হবে, তাও জানালেন অর্থমন্ত্রী।
“এখনও বড় বড় প্রকল্প শেষ হয়নি। আগামী বছর থেকে আমরা আমাদের বড় বড় প্রকল্পের সুফল পেতে শুরু করব। এক পদ্মা সেতু চালু হলেই এক শতাংশ প্রবৃদ্ধি বাড়বে।”