রোহিঙ্গাদের জন্য আরও ৮ কোটি ৭০ লাখ পাউন্ড দেবে যুক্তরাজ্য

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়ে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আরও ৮ কোটি ৭০ লাখ পাউন্ড সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Sept 2019, 02:06 PM
Updated : 22 Sept 2019, 02:06 PM

যুক্তরাজ্যের হাই কমিশনার রবার্ট ডিকসন এবং বাংলাদেশে ডিএফআইডির প্রধান জুডিথ হারবার্টসন রোববার ব্রিটিশ হাই কমিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই সহায়তার ঘোষণা দেন। 

সহায়তার এই অর্থ ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন, যৌন সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের সহায়তা ও কাউন্সেলিং এবং অসহায় ব্যক্তিদের সুরক্ষা নিশ্চিতে ব্যবহার করা হবে।

এর মধ্যে ২ কোটি পাউন্ড কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণের জন্য ব্যয় হবে, যারা বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার আগমণে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছেন, যাদের মধ্যে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা এসেছেন ২০১৭ সালের অগাস্টে রাখাইনে নতুন করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন শুরু হওয়ার পর। জাতিসংঘ ওই অভিযানকে ‘জাতিগত নির্মূল’ অভিযান হিসেবে বর্ণনা করে আসছে। 

মিয়ানমার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হওয়ায় দুই দফা চেষ্টার পরও রোহিঙ্গাদের কাউকে তাদের ভিটেমাটিতে ফেরত পাঠানো যায়নি।

বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প (ফাইল ছবি)

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তায় বাংলাদেশ এই বিপুল জনগোষ্ঠীকে জরুরি মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে। নতুন ৮ কোটি ৭০ লাখ পাউন্ড নিয়ে রোহিঙ্গাদের জন্য ব্রিটিশ সহায়তার পরিমাণ দাঁড়ালো ২২ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড।

হারবার্টসন বলেন, “নতুন এই ৮ কোটি ৭০ লাখ পাউন্ড কাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজে লাগবে, পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও উপকৃত হবেন, যারা এই সঙ্কটের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।”

রবার্ট ডিকসন বলেন, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে দৃঢ়-টেকসই অংশীদারিত্ব বিদ্যমান। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সেই সম্পর্ক আরও দৃঢ় হচ্ছে

 “রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ ও সরকার যে উদারতা ও মানবতা  দেখিয়েছে, আমরা তাকে সাধুবাদ জানাই।

রোহিঙ্গারা যাতে স্বেচ্ছায়, নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে তাদের ভূমিতে ফিরে যেতে পারে, সেই পথ খুঁজে বের করাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আর প্রত্যাবাসনের আগে সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে যুক্তরাজ্য অঙ্গীকারাবদ্ধ।”