বুধবার বিকেলে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী নির্বাচিতদের হাতে এই কার্ড তুলে দেন।
২০১৭সালে অর্থনীতিতে অবদানের জন্য এদের এই কার্ড দেওয়া হল। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ওই বছর ১৬টি পণ্যখাতে ১৩৬ জন রপ্তানিকারক এবং পদাধিকার বলে ৪৬ জন ব্যবসায়ী নেতাকে সিআইপি হিসাবে নির্বাচিত করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এছাড়া ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে লেটার অব ইন্ট্রোডাকশান পাবেন। সিআইপি এবং তাদের ছেলে-মেয়ে, স্ত্রী সরকারি হাসপাতালে কেবিন পেতে অগ্রাধিকার, বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহার করতে পারবেন।
সিআইপি কার্ড পাওয়া ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, “২০২১ সালে ৬০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা আপনাদেরকেই পূরণ করতে হবে। আপনাদের মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে নিয়ে যেতে চাই দেশকে।”
এবার ১৮২ জন সিআইপি কার্ড দেওয়া হয়েছে। আগামীতে আরও বেশি সংখ্যক ব্যবসায়ীকে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪৬ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। চলতি ২০১৯-১০ অর্থবছরে লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৫৪ বিলিয়ন ডলার।
“আমার, বিশ্বাস গতবারের মতো এবারও রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছড়িয়ে যাবে।”
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, একটা সময় আমরা ১০ মিলিয়ন টন চা উৎপাদন করে ৮ মিলিয়ন টন রপ্তানি করতাম। আমাদের চা খাওয়ার লোক ছিল না। এখন আমরা উল্টো ৮৫ মিলিয়ন কেজি চা আমদানি করি।
ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, রপ্তানি বাণিজ্য বাড়াতে এফবিসিসিআই বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারে বিশ্বের বিভিন্ন খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে প্রশিক্ষণ ও গবেষণার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সিআইপি কার্ড প্রাপ্ত বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সংসদ সদস্য সালাম মুর্শেদী বলেন, বাণিজ্য সচিব জাফরউদ্দীন, অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা ইয়াসমিন বক্তব্য রাখেন।