সরকারিভাবে স্থাপিত কোনো সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘটনা দেশে এটাই প্রথম বলে কর্ণফুলী জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘কাপ্তাই ৭.৪ মেগাওয়াট সোলার পিডি গ্রিড কানেকটেড বিদ্যুৎকেন্দ্রের’ উদ্বোধন করেন।
সরকার ২০২০ সালের মধ্যে দেশের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ১০ শতাংশ সৌরশক্তি থেকে পাওয়ার পরিকল্পনা করেছে। এরই অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ।
এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবির সহযোগিতায় প্রায় ৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে কাপ্তাইয়ে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নির্মাণের জন্য চীনের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জেডটিই করপোরেশনের সঙ্গে ২০১৭ সালের ৯ জুলাই চুক্তি করে পিডিবি।
এরপর রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় ১৯৬২ সালে গড়ে তোলা কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান বাঁধ সংলগ্ন ২৩ একর খালি জায়গায় শুরু হয় সারি সারি সৌর প্যানেল বসানোর কাজ।
এ প্রকল্প থেকে প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৫ টাকা ৪৮ পয়সা ব্যয় ধরা হয়েছে বলে জানান ব্যবস্থাপক।
আগামী দুই বছর এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের সার্বিক দায়িত্ব থাকবে জেডটিইর হাতে। পরে তা কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
জেডটিইর প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, মোট ২৪ হাজার ১২টি সৌর প্যানেল থেকে এ প্রকল্পে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। ইনভার্টার রয়েছে ২৪০টি।
“মোট উৎপাদন ক্ষমতা ৭.৪ মেগাওয়াট, তবে আবহাওয়া অনুযায়ী উৎপাদন কমবেশি হবে। পরীক্ষামূলক উৎপাদনে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৬ দশমিক ৫ মেগাওয়াট পাওয়া গেছে।”
এই সৌর প্যানেলগুলোর মেয়াদ ২৫ বছর। আর ইনভার্টারের ১০ বছর ওয়ারেন্টি। এরপর পরিবর্তন করে উৎপাদন চালিয়ে নেওয়া যাবে বলে জানান সিদ্দিক।
কর্ণফুলী জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক আব্দুজ্জাহের জানান, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে কাপ্তাই হ্রদে ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরও একটি সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।