সেবা রপ্তানি বাড়াতে ফ্রিল্যান্সারদের ব্যয়ের সীমা বাড়ল

সেবা রপ্তানি বাড়াতে ফ্রিল্যান্সারদের ব্যয়ের সীমা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Sept 2019, 05:05 PM
Updated : 10 Sept 2019, 05:05 PM

এখন থেকে ভার্চুয়াল (ডেবিট,ক্রেডিট ও প্রিপেইড) কার্ডের পাশাপাশি মোবাইল ওয়ালেটের মাধ্যমেও দেশের বাইরে অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ফ্রিল্যান্সাররা। এ ব্যবস্থায় একজন বছরে ৫০০ ডলার পর্যন্ত খরচ করতে পারবেন।

এতোদিন যা ছিল ৩০০ ডলার।

২০১৪ সালের এক সার্কুলারে ৩০০ ডলার পর্যন্ত খরচ করার অনুমতি দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার সেই সীমা বাড়িয়ে ৫০০ ডলার করা হয়েছে।

এর ফলে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ শুরু করা নতুন শিক্ষার্থীরা প্রথম বছরেই ৫০০ ডলার পর্যন্ত খরচ করতে পারবেন।

বিভিন্ন ব্যাংকের বৈদেশিক লেনদেন হয়- এমন শাখা (এডি) থেকে এসব সুবিধা নেওয়া যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে সোমবার এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিভিন্ন ধরনের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) অনলাইন বাজারে ছাড়ার জন্য বিশ্বখ্যাত অ্যাপ ষে।টারে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে নিবন্ধিত হতে হয়। আবার নতুন ওয়েবসাইট নির্মাণ, সার্ভার ভাড়াসহ তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন সেবার জন্য বিদেশী মুদ্রা খরচ করতে হয়।

বাংলাদেশে এ খাতের নতুন ডেভেলপার ও ফ্রিল্যান্সারদের শুরুতেই কোন আয় থাকে না। তবে বিদেশে খরচ করতে হয়।

এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই ফ্রিল্যান্সারদের ব্যয়ের সীমা বাড়ানো হয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঐ কর্মকর্তা।

সেবা রপ্তানির ক্ষেত্রে নিবন্ধনসহ বিভিন্ন কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সারদের বিদেশে অর্থ পরিশোধ করতে হয়। ফ্রিল্যান্সাররা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন গেম ও সফটওয়্যারের লাইসেন্স ফি, মোবাইল কিংবা গেমস অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপের নিবন্ধন ফি, ভেন্ডার সার্টিফিকেশন পরীক্ষার ফি, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, ওয়েবসাইট তৈরি, সার্ভার ভাড়া, যেকোনও ডোমেইন নিবন্ধন, ক্লাউড ইত্যাদি সেবা রপ্তানি করে থাকেন।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী,  সেবা রপ্তানি করে বাংলাদেশ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৬৩৫ কোটি (৬.৩৫ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছে।

এই অংক ২০১ ৭-১৮ অর্থবছরের চেয়ে ৪৬ শতাংশ বেশি। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আয় হয়েছে ২৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ।