সোমবার বাংলাদেশে জার্মানির রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোলৎজের নেতৃত্বে দেশটির একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। পরে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, জার্মানের এই প্রতিষ্ঠান দুটি থাইল্যান্ডেও গাড়ি সংযোজন করে।
“থাইল্যান্ডে যেভাবে অ্যাসেম্বল করে, সেভাবে এখানেও করবে। অর্থাৎ তারা বিএমডব্লিউ ও মার্সিডিজ বেঞ্জ এর কিছু পার্টস এখানেই তৈরি করবে এবং কিছু পার্টস বিদেশ থেকে নিয়ে আসবে। পরে এটা এখানে অ্যাসেম্বলিং করবে।”
তাদের প্রস্তাব নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে অর্থমন্ত্রী জানান।
নিজের মত প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এটি একটি খুবই উত্তম প্রস্তাব, এটা হলে আর আমাদেরকে ব্যয়বহুল গাড়ি আমদানি করতে হবে না।”
মুস্তফা কামাল বলেন, “জার্মান প্রতিনিধি দল আরেকটি অত্যন্ত ভালো প্রস্তাব দিয়েছে। তা হচ্ছে, তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে আমাদের জিএসপি সুবিধা যেন বাতিল হয়, সে বিষয়ে তারা সর্বোতভাবে আমাদেরকে সহায়তা করবে।”
ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে জার্মানির উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল পাঁচ দিনের সফরে বর্তমানে ঢাকায় রয়েছে।
অ্যাসোসিয়েশন অব জার্মান চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিকে সঙ্গে নিয়ে জার্মান এশিয়া-প্যাসিফিক বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন এ সফরের আয়োজন করে। প্রতিনিধি দলে জার্মানির বস্ত্র, আসবাবপত্র, জাহাজ থেকে শুরু করে পরিবেশ-প্রযুক্তি, ব্যাংকিং ও পর্যটন খাতের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
তারা বাংলাদেশের পাট শিল্পকেও ব্যবহারের আগ্রহ দেখিয়েছে বলে অর্থমন্ত্রী জানান।
“আমাদের এক সময়ের প্রধান রপ্তানি আয়ের সোনালী আঁশ পাট শিল্প ব্যবস্থাপনা করা আমাদের জন্য অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই এটাও অত্যন্ত উত্তম প্রস্তাব।”
“মার্সিডিজ বেঞ্জের ভেতরে পাটের অনেক ব্যবহার রয়েছে। জার্মানির যত গাড়ি আছে, প্রায় সব গাড়ির ভেতরের অংশে পাটের অনেক ব্যবহার হয়ে থাকে।”