টাকার উপর লেখালেখি, সিল ও স্ট্যাপলিং নয়

টাকার উপর কোন ধরনের লেখালেখি, সিল ও স্ট্যাপলিং করা যাবে না।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Sept 2019, 01:50 PM
Updated : 9 Sept 2019, 02:19 PM

সোমবার ব্যাংকগুলোকে নতুন করে এ নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো ‘নতুন ও পুনঃ প্রচলনযোগ্য ব্যাংক নোটের উপর লেখালিখি, সীল প্রদান এবং নোটের প্যাকেটে স্ট্যাপলিং করা’ শীর্ষক সার্কুলারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বাজারে প্রচলিত বাংলাদেশী ব্যাংক নোটসমূহের উপর লিখন, সিল, স্বাক্ষর প্রদান ও বারবার স্ট্যাপলিং করার কারণে নোটসমূহ অপেক্ষাকৃত কম সময়ে অপ্রচলনযোগ্য হয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে দেখা যায় যে, টাকার উপর লাল, লীল, কালো বিভিন্ন কালিতে সংখ্যা লিখনের আধিক্য বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এ লেখালিখিতে ব্যাংকারদের ভূমিকাই মূখ্য।এছাড়া মূল্যমানের পুনঃ প্রচলনযোগ্য নোট প্যাকেটকরণে সীল প্রদানের বিষয়টিকে বর্তমানে ব্যাংকিং প্র্যাকটিসে পরিণত হয়েছে।

“এর ফলে খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে নোটসমূহ ময়লা ও অচল হয়ে যাচ্ছে এবং স্ট্যাপলিংয়ের কারণে নোটের স্থায়িত্ব কমে যাচ্ছে যা বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত ক্লিন নোট পলিসি ও নোট ব্যবস্থাপনা কৌশলের সাথে সংগতিপূর্ণ নয়।”

সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংকের কৌশলগত পরিকল্পনার ঘোষণা মোতাবেক ‘ক্লিন নোট সার্কুলেশন পলিসি’ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে এবং বাংলাদেশী টাকার ব্যবহারিক সময়কাল বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোকে নীচের নির্দেশনাগুলো পালন করতে বলা হয়েছে-

>> ব্যাংকগুলোর নতুন ও পুনঃ প্রচলনযোগ্য নোট গ্রহন, টাকা প্রদান এবং টাকা গণনাকরতঃ সর্টিং ও প্যাকেটিং করার সময় টাকার উপর কোনো প্রকার সংখ্যা লিখন, অনুস্বাক্ষর প্রদান, সিল প্রদান কিংবা অন্য যে কোনো ধরণের লেখালিখি করা যাবে না।

>> নতুন ও পুনঃ প্রচলনযোগ্য নোট প্যাকেটকরণের সময় ব্যাংকেরর মুদ্রিত ফ্লাইলীফে ব্যাংক শাখার নাম, সিল, নোট গণনাকারী ও প্রতিনিধিদের স্বাক্ষর ও তারিখ আবশ্যই প্রদান করতে হবে।

>> ১০০০ টাকা মূল্যমানের নোট ছাড়া অন্য কোন মূল্যমানের নতুন ও পুনঃপ্রচলন নোটের প্যাকেট স্ট্যাপলিং করা যাবে না।

>> অন্য মূল্যমানের নতুন ও পুনঃপ্রচলন নোটের প্যাকেট ২৫ মি মি হতে ৩০ মি মি প্রশস্ত পলিমার টেপ অথবা পলিমারযুক্ত পুরু কাগজের টেপ দ্বারা বাঁধতে হবে।

>> ব্যাংকগুলো তাদের নোটের নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্বের অন্য দেশে ব্যাংক নোট ব্যান্ডিংয়ে ব্যবহৃত আরো উন্নত প্রযুক্তি অনুসরণ করতে পারে।

এর আগেও ব্যাংকগুলোকে একই ধরনের নির্দেশনা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় নতুন করে এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।