আরও উন্মুক্ত হল এলএনজির বাজার

জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ ও সহজলভ্য করতে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজির দেশীয় বাজার আরও উন্মুক্ত করেছে সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Sept 2019, 04:53 PM
Updated : 8 Sept 2019, 04:53 PM

সম্প্রতি চালু করা হয়েছে ‘বেসরকারি পর্যায়ে এলএনজি স্থাপনা নির্মাণ, আমদানি ও সরবরাহ নীতিমালা-২০১৯’।

রোববার পেট্রোবাংলা কার্যালয়ে এলএনজি আমদানি নীতিমালা শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বেসরকারি পর্যায়ে এলএনজি আমদানি বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

তিনি বলেন, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরও আমদানি ও বিক্রির সুযোগ দিয়েছে সরকার। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জ্বালানির বাজার আরও উন্মুক্ত ও প্রতিযোগিতামূলক করা।

“আমদানিকারকরা নির্ধারিত প্রক্রিয়া ও পেট্রোবাংলার  স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী খোলাবাজার থেকে নিজস্ব ব্যবহারের জন্য এলএনজি আমদানি করতে পারবেন। চাইলে তারা সুনির্দিষ্ট ক্রেতার কাছে তা বিক্রি করতে পারবেন। তারা নিজস্ব সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারবেন। এমনকি সরকার প্রয়োজন মনে করলে তাদের কাছ থেকে এলএনজি কিনবে।”

বর্তমানে বিদেশি প্রতিষ্ঠান এক্সিলারেট এনার্জি ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান সামিট এলএনজি পেট্রোবাংলার সরবরাহ লাইনের মাধ্যমে এক হাজার এমএমসিএফডি এলএনজি আমদানির দায়িত্বে রয়েছে। তবে দিন দিন জ্বালানি চাহিদা বাড়তে থাকায় এবং দেশীয় গ্যস উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কায় এলএনজির বাজার আরও বড় হবে বলে আভাস দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

এই পরিস্থিতিতে এলএনজির বেসরকারি বাজার উন্মুক্ত করে গত ৩১ মে এই নীতিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

সেমিনারে নীতিমালার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মনিরুজ্জামান বলেন, জ্বালানি খাতে ৫ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন শিল্প গ্রুপ এলএনজির বিপণনে যুক্ত হতে পারবেন। এক্ষেত্রে তাদেরকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রেখে অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। আমদানির জন্য নির্ধারিত ভ্যাট, ট্যাক্স ও অন্যান্য কর পরিশোধ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রতি বছর কী পরিমাণ এলএনজি আমদানি করা হবে এবং তা কাদের কাছে বিক্রি করা হবে সে বিষয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অনাপত্তি গ্রহণ করতে হবে। আমদানি কারক প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরাই দাম ঠিক করতে পারবে।

বেসরকারি উদ্যোক্তারা নিজস্ব সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন নির্মাণ করতে পারবেন বলেও নীতিমালায় সুযোগ রাখা হয়েছে।

প্রকৃতিক গ্যাসকে ১৬২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ঋণাত্মক তাপমাত্রায় নিয়ে এর ঘনত্ব ৬০০ গুণ বাড়িয়ে এলএনজিতে রূপান্তর করা হয়। আবার স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এনে আয়তন ৬০০ গুন বাড়িয়ে বিক্রিয় যোগ্য গ্যাস তৈরি করা হয়। তবে এসব গ্যাসের অন্যান্য মানদণ্ড ঠিক করে পেট্রো বাংলা।

এলএনজির উন্মুক্ত বাজারে এখন পর্যন্ত নতুন কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেয়নি।