২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম মাসে ঋণ ও অনুদান মিলে ৩৯ কোটি ১১ লাখ ডলার ছাড় হয়েছে, যা গত অর্থবছরের জুলাইতে ছিল ১৮ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। অর্থাৎ ২০ কোটি ৩২ লাখ ডলার বেশি ছাড় হয়েছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
ইআরডি সচিব মো. মনোয়ার আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে দিন দিন আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেই অর্থ ছাড় বাড়ছে। শুরুতেই অর্থছাড় বৃদ্ধি পাওয়ায় অর্থবছর শেষে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।”
চলতি অর্থবছরের জন্য প্রতিশ্রুত বৈদেশিক ঋণ-সহায়তার ৭৬৭ কোটি ডলার ছাড়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের।
মেট্রোরেল, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, পদ্মা বহুমুখী সেতুতে রেল লিংক সংযোগ এবং দোহাজারী থেকে রামু-কক্সবাজার হয়ে ঘুমধুম পর্য়ন্ত রেল লাইন নির্মাণসহ অনেকগুলো বড় প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এগুলোর বেশির ভাগই ২০২১ সালের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
অর্থবছরের প্রথম মাসে অর্থছাড় বাড়লেও দাতাদের কাছ থেকে ঋণ সহায়তার প্রতিশ্রুতির জন্য চুক্তি করতে পারেনি সরকার। এমাসে ২ কোটি ১৫ লাখ ডলারের অনুদান সহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে।
ইআরডি সচিব বলেন, অগাস্টে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি হয়েছে। অর্থবছর শেষে প্রতিশ্রুতিও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে তার আশা।
চলতি অর্থবছরে দাতাদের কাছ থেকে ৬ বিলিয়ন বা ৬০০ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের।
এদিকে অর্থবছরের প্রথম মাসে বাংলাদেশ দাতাদের কাছে পুঞ্জিভূত পাওনা থেকে পরিশোধ ১৭ কাটি ৫৫ লাখ ডলার। এর মধ্যে আসল হিসেবে ফেরত দিয়েছে ১৩ কোটি ৭৪ লাখ ডলার এবং ঋণের সুদ হিসেবে দিয়েছে তিন কোটি ৮০ লাখ ডলার।