বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রচলনে নীতিমালা প্রয়োজন: প্রতিমন্ত্রী

বৈদ্যুৎচালিত গাড়ির প্রচলন বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ  এ ধরনের গাড়ি চলাচলের অনুমোদন দিতে বিআরটিএর উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 August 2019, 03:16 PM
Updated : 31 August 2019, 03:16 PM

শনিবার রাজধানীতে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি কর্তৃপক্ষ- স্রেডা কার্যালয়ে এক চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বজায় থাকলে এসব যানবাহনকে অনুমোদন দেওয়া উচিত।

তিনি বলেন, “ভারত বৈদ্যুতিক যানবাহন ব্যবহারে উৎসাহ দিচ্ছে। আমাদেরও সেদিকে যাওয়া উচিত। বৈদ্যুতিক যাননবাহন ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য স্রেডা বিআরটিএর সঙ্গে কথা বলতে পারে। এ বিষয়ে যুগোপযোগী নীতিমালা তৈরির কাজে হাত দিতে পারে।”

সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে ১৫ শতাংশ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয় করতে চায় সরকার। এজন্য কলকারখানায় ব্যবহৃত মেশিন ও স্থাপনাগুলোর বৈদ্যুতিক বাতি, এসি, পাখা ও ফ্রিজে জ্বালানিসাশ্রয়ী প্রযুক্তি সংযুক্ত করতে চায় সরকার।

কলকারাখানা ও স্থাপনাগুলোতে জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি স্থাপনে প্রাথমিক অবস্থায় প্রণোদনা দেওয়ার পক্ষেও মত দেন প্রতিমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রকল্প বাস্তবায়নে জাপানের মিতসুবিশি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করে স্রেডা। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে স্বল্প সুদে ঋণ দিচ্ছে জাপানি সহায়তা সংস্থা জাইকা।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি নিশ্চিত করার জন্য স্রেডা স্বল্প সুদে ঋণ দেবে। শিল্পের ক্ষেত্রে এই সুদের হার হবে চার শতাংশ। প্রাথমিক ও দ্বিতীয় ধাপে ৩০০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

স্রেডার প্রকল্পের অধীনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩৫ জন প্রকৌশলীকে অনুষ্ঠানে সনদ দেওয়া হয়।

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, “কেবল প্রশিক্ষণ ও নতুন প্রযুক্তি স্থাপন নয়; পাশাপাশি জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে প্রচারাভিযান চালাতে হবে।”

অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব আহমদ কায়কাউস, মিতসুবিশি রিসার্চ ইনস্টিউটের ম্যানেজিং এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কোটারো নাগাসাওয়া এবং স্রেডা চেয়ারম্যান মো. হেলাল উদ্দিন, সদস্য সিদ্দিক জু্বায়ের বক্তব্য রাখেন।