সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৯ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত পরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
তিনি বলেন, এটি চালনা বন্দর হিসেবে চালু হয়েছিল ১৯৭৬ সালে। পরে ১৯৮৭ সালে নাম পরিবর্তনে মোংলা বন্দর হয়।
“এই বন্দরের একটি ‘অর্ডিনেন্স’ আছে, দা চালনা পোর্ট অর্ডিনেন্স ১৯৭৬। যেহেতু এটা অর্ডিনেন্স এবং সামরিক আমলের, এজন্য এটার পরিবর্তন বা এটাকে আপডেটিংয়ের একটা বাধ্যবাধকতা আছে হাই কোর্ট কর্তৃক। আগের যে আইন, তার সাথে একটু পরিবর্তন আনা হয়েছে। অর্থাৎ আগের অর্ডিনেন্সের সাথে পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন কিছু সংযোজন এবং কিছু বাদ দিয়ে এটাকে পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।”
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “পেনাল্টিস নিয়ে ৪১ ধারায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। যেমন, আগের ৪০ ধারাতে বলা ছিল, যদি কোনো ব্যক্তি এ আইন ও বিধির কোনো বিধান লঙ্ঘণ করে, তার জন্য ৬ মাসের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে তা ৬ মাস ও দুই লাখ টাকা জরিমানা।”
এছাড়া টোল পরিহারের জন্য, দূষণের জন্য দণ্ডের নতুন প্রস্তাব করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
দূষণের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে এক বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫ লাখ টাকার অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড।
সচিব বলেন, কোনো জাহাজ যদি বন্দর সীমার মধ্যে পানিতে, সৈকতে, তীরে অর্থবা ভূমিতে কোনো বর্জ্য, ছাই, তৈল বা তৈল জাতীয় পদার্থ বা অন্য কিছু ফেলে, তাহলে সাজা এক বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড। এটা আগে ছিল শুধু ৫০ হাজার টাকা জরিমানা।
তিনি বলেন, “৪৫ ধারাতে একটি নতুন ধারার প্রস্তাব করা হয়েছে। তাহল কোম্পানি কর্তৃক অপরাধ সংগঠন। কোনো কোম্পানি কর্তৃক এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংগঠিত হলে কোম্পানির পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব, অংশীদার, কর্মকর্তা-কর্মচারী উক্ত অপরাধ সংগঠন করিয়াছে বলে গণ্য হবে।”
শফিউল আরও জানান, বিদ্যমান আইনে ‘অভ্যন্তরীণ নৌযান’ এই শব্দটিকে কোনো সংজ্ঞা ছিল না; এখন তা যুক্ত হচ্ছে। টার্মিনালও সংজ্ঞায়িত করা হচ্ছে নতুন আইনে।
তিনি বলেন, পরিচালনা ও প্রশাসন আগেও ছিল এবং এখনও থাকবে। এটার জন্য একটা বোর্ড থাকবে। একজন চেয়ারম্যান এবং ছয়জন সদস্য থাকবে। এই সাতজনের বোর্ডই বন্দর কর্তৃপক্ষকে পরিচালনা করবে।
“অপারেটর’ নিয়োগে ১৯ ধারাতে নতুন সংযোজন করা হয়েছে।”