হজ করে আসার পরও কর কর্মকর্তাদের স্বভাব বদলাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
নতুন ভ্যাট নিয়ে শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত সচেতনতামূলক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছিলেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এ কর্মশালায় বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীরা অংশ নেন।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ব্যবসায়ীদের বলেন, কোনো কর্মকর্তার দ্বারা হয়রানির শিকার হলে তারা যেন সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে বিষয়টি জানান।
এ সময় কর কর্মকর্তাদের হয়রানির বিষয়ে একজন ব্যবসায়ীর প্রশ্নে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “হজ মৌসুম আসলে হজের জন্য ছুটি দিতে দিতে আমার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। কই হজ করে আসার পরও তো তাদের স্বভাব পরিবর্তন হচ্ছে না।”
অসহায়ের সুরে তিনি বলেন, “আমরা আর কী করতে পারি।”
স্বয়ংক্রিয়ভাবে কর আদায়ে ব্যবসায়ীদেরকে যে ইলেক্ট্রনিক ফিসকাল ডিভাইস (ইএফডি) সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে তা নষ্ট হলে নিজ দায়িত্বে সচল রাখতে হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, “ছোট ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছ থেকে রিবেট (ছাড়) নিতে জানেন না। তাই ৫০ লাখ টাকার কম লেনদেনের ক্ষেত্রে আমরা কোনো ভ্যাট রাখিনি।”
দেশের অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতির প্রভাব যাতে না পড়ে, সেজন্যই এ ব্যবস্থা বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।
“৫০ লাখ থেকে তিন কোটি টাকা পর্যন্ত বছরে লেনদেনকারী ৪ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হবে। এই ভ্যাট ব্যবসায়ীদের দিতে হবে না। আপনারা সাধারণ ক্রেতাদের কাছ থেকে আদায় করে সরকারের তহবিলে দেবেন।”
কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসির বলেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ভ্যাটমুক্ত লেনদেন, ভ্যাট রিফান্ড সিস্টেম এবং ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আমদানির ক্ষেত্রে অগ্রিম কর প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কারণে দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করবে।
তিনি উৎপাদিত পণ্যের কাঁচামাল আমদানির ওপর অগ্রীম কর অব্যাহতির মতো জীবনরক্ষাকারী ওষুধ ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখার আহ্বান জানান।