খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমেছে: অর্থমন্ত্রী

বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমেছে বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 July 2019, 04:35 PM
Updated : 22 July 2019, 04:35 PM

সোমবার সচিবালয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা বৈঠক করেন তিনি।

পরে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “ব্যাংকগুলোর সাথে নন পারফর্মিং লোন নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছি।

“শপথ যেদিন নিয়েছিলাম, সেদিনই বলেছিলাম, বাড়বে না। আপনারা পত্রিকায় লিখেছেন বাড়ছে। আমার কাছে যে তথ্য আছে সে তথ্য অনুযায়ী তা বাড়েনি।”

এ বছরের শুরুতে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর মুস্তফা কামাল ঘোষণা দিয়েছিলেন, খেলাপি ঋণ আর ‘এক টাকাও বাড়বে না’।

সেজন্য ঋণ অবলোপনের নীতিমালা শিথিলসহ কিছু পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরও খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ার বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য গণমাধ্যমে আসে।

২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের মার্চের বিভিন্ন ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ার হারের সঙ্গে জুনের তুলনা দেখিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “জুন নাগাদ সোনালী ব্যাংক ২৫ শতাংশে এ আসছে, জনতা বাংকের ৩৫ শতাংশে, অগ্রণী ব্যাংকেরও কমেছে ১৪ শতাংশ, রূপালী ব্যাংক ১৭ শতাংশে এসেছে। তবে বেসিক ব্যাংক ও অন্যান্য ব্যাংক একই ফিগার রয়েছে।”

“হিসাব থেকে দেখা যাচ্ছে, যে ফিগার ছিল, তা কমে  এসেছে। এটি গুড সাইন,” বলেন তিনি।

ঋণ খেলাপিদের খেলাপির চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা বাস্তবায়ন হলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ আরও কমে আসবে বলে আশাবাদী মুস্তফা কামাল।

ব্যাংক ঋণে সুদের হার এক অঙ্কে নেমে এলে তার প্রভাবে খেলাপি ঋণও কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি।

“সিঙ্গেল ডিজিটে না হলে নন পারফর্মিং লোন বাড়ে। ঋণ গৃহীতা ও ব্যবসায়ীদের লাভবান করার জন্য একাজ করা হচ্ছে। আমাদের দেশে ইন্টারেস্ট ক্যালকুলেশন সিম্পেল রেইটে করে না, কমপাউন্ডিং করে ক্যালকুলেশন করে।সিম্পেল ইন্টারেস্ট রেইট করতে হবে। টাকাটা জীবনেও পাব না এটা ভালো না। টাকাটা পাব, এটা ভালো।”

ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি এই খাত গতিশীল করতে সরকারের চেষ্টার কথাও তুলে ধরেন মুস্তফা কামাল।

“আমাদের ব্যাংকিং খাত জোরদার করতে যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হবে, ক্রটি বিচ্যুতি যারা করেছে, তারা স্বীকার করছে টাকা পয়সা দিয়ে দেবে, তা গ্রহণ করা হবে।

“যারা অন্যায়ভাবে টাকা দেশের বাইরে নিয়ে গেছে বা দেশে বালিশের নিয়ে নিয়ে গেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নিচ্ছি। এরই মাঝে জনতা ব্যাংক ও ফারমার্স ব্যাংকের অনেকে জেলে আছে।”