ঋণ খেলাপিদের ছাড় দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী: ফরাজী

ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর কথা বললেও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তাদের ছাড় দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন সংসদে বিরোধী দলের সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 June 2019, 04:45 PM
Updated : 22 June 2019, 04:59 PM

শনিবার সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় তিনি এ অভিযোগ করেন।

ফরাজী বলেন, “ব্যাংক খাত এবং পুঁজিবাজারের অবস্থা খারাপ। একটি শ্রেণি ষড়যন্ত্র করে নিজেরা লাভবান হওযার চেষ্টা করছে। ব্যাংক খাত সংস্কার করতে দ্রুত ব্যাংক কমিশন করতে হবে। কিন্তু অর্থমন্ত্রী এ বিষয়ে কিছু বলেননি। অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ঋণ খেলাপিদের বিষয়ে তিনি কঠোর হবেন। কিন্তু বাস্তবে তিনি ঋণ খেলাপিদের ছাড় দিয়েছেন।”

রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, “দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। কিন্তু পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের উন্নয়ন ব্যয় কম। সরকারি বিনিয়োগ বাড়লেও বেসরকারি ও ব্যক্তি বিনিয়োগ বাড়ছে না। মানুষ সুশাসন দেখতে চায়। বিনিয়োগে নানা ধরনের সমস্যা আছে।”

মুস্তফা কামাল অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পরই খেলাপি ঋণ কমানোর ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন, “খেলাপি ঋণ আর এক টাকাও বাড়বে না।”

এরপর প্রথম পদক্ষেপে ব্যাংকগুলোর ঋণ অবলোপন নীতিমালা শিথিল করে মাত্র তিন বছরের মন্দ মানের খেলাপি ঋণ ব্যালেন্স শিট থেকে বাদ দেওয়ার বিধান করা হয়। এতে খেলাপি ঋণ আদায় না হলেও তা কাগজ-কলমে কমবে।

তারপর দ্বিতীয় পদক্ষেপ হিসেবে ‘ঋণ খেলাপি’ তকমা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য খেলাপি ঋণের ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ৯ শতাংশ সুদে এক বছরের প্রেস পিরিয়ডসহ ১০ বছরে ওই টাকা পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হয়।

ঋণ খেলাপিদের এই সুযোগ দিয়ে গত মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলার ২৪ জুন পর্যন্ত স্থগিত করেছে হাই কোর্ট।

তবে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম মনে করেন, অর্থমন্ত্রী যেসব উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নিয়েছেন তাতে খেলাপি ঋণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

তিনি দাবি করেন, “বিএনপির আমল থেকে রাষ্ট্রীয় সহায়তায় খেলাপি ঋণের চর্চা শুরু হয়। ১৯৯২ সালে বিএনপির আমলে ড্যান্ডি ডাইংকে ঋণ দেওয়া হয়। ২০০১ সালে তাদের ১২ কোটি ১৬ লাখ সুদ মওকুফ করা হয়। খেলাপি ঋণের সংস্কৃতি সে আমল থেকে শুরু হয়েছে।”

সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ সুবর্ণা মুস্তফা বলেন, শিল্পী এখনও এ দেশে কোনো স্বীকৃত পেশা নয়।

তিনি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সেই সঙ্গে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বাড়ানো, শিল্পীদের কর কমানো এবং মূসক প্রত্যাহারের করার দাবি জানান তিনি।