জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রসপেক্টাস উন্মোচন

জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি বরাদ্দের প্রসপেক্টাস উন্মোচন করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 June 2019, 01:43 PM
Updated : 20 June 2019, 01:43 PM

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বিনিয়োগকারীদের জন্য এই প্রসপেক্টাস উন্মোচন করেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ,  জামালপুরের সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেন, সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মইন উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী ।

জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল ময়মনসিংহ বিভাগে প্রথম বাস্তবানাধীন সরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল। ৪৩৬ একর জমির উপর গড়ে উঠবে এই অঞ্চল।

এটি বাস্তবায়ন হলে ৩২ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। কৃষি ভিত্তিকি এবং তৈরি পোশাক শিল্প কারখানা স্থাপনের জন্য উপযুক্ত হবে বলে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ইতোমধ্যেই গ্যাস সংযোগ লাইন এবং ৩৩/১১ কেভিএ বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া ড্রেইনেজ সিস্টেম , ভূমি উন্নয়ন, গ্রাউন্ড ওয়াটার রির্জাভার, প্রশাসনিক ভবন, ডরমেটরি এবং বাউন্ডারি ওয়াল, অভ্যন্তরীন সড়ক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কাজ এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে ২০টি অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় প্রি-কোয়ালিফিকেশন লাইসেন্স প্রদান করেছে। এরমধ্যে ১০টিকে চুড়ান্ত লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে।

এছাড়া মোংলা অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল (১ম পর্যায়) ডেভেলপার নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে এবং নাফ ও সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।

অনুষ্ঠানে সালমান এফ রহমান বলেন, “প্রধানমন্ত্রী একটি সুষম উন্নয়নভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তুলতে বদ্ধ পরিকর। আর এই  উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে বেসরকারি বিনিয়োগ অত্যন্ত অপরিহার্য। ব্যবসায়ী উদ্যোক্তাদের সরকারের পাশে থেকে দেশে শিল্পের বিকেন্দ্রীকরণে ভূমিকা রাখতে শিল্প স্থাপন করতে হবে।”

আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠলে জামালপুরে কৃষিভিত্তিক পরিকল্পিত শিল্প স্থাপনের পথ সুগম হবে। এ অঞ্চলের মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নত হবে।