অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মাসুম মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জরিপের মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, এখানে উন্নত মানের লোহার আকরিক রয়েছে।”
ওই এলাকায় ২০১৩ সালে অনুসন্ধান জরিপ চালিয়ে লোহার মজুদের পাশাপাশি চুনাপাথর, কঠিন শিলা ও অন্যান্য খনিজের অস্তিত্ব পাওয়ার সুখবর দেয় বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের জরিপ দল সে সময় খনন চালিয়েছিল ইসবপুর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে মুশিদপুর এলাকায়। বাংলাদেশে এর আগে আর কোথাও লোহার খনির সন্ধান পাওয়া যায়নি।
খনির বিস্তৃতি, লোহার মজুদের পরিমাণ এবং উত্তোলন লাভজনক হবে কি না- তা বুঝতে হাকিমপুর উপজেলা সদর থেকে ১১ কিলোমিটার পূর্বে ইসবপুর গ্রামে দ্বিতীয় পর্যায়ের জরিপ শুরু করে ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর।
গত ১৯ এপ্রিল থেকে ৩০ সদস্যের একটি দল সেখানে খনন কাজ পরিচালনা করছে বলে অধিদপ্তরের খনন প্রকৌশীল (উপ-পরিচালক)মাসুদ রানা জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “১৩০০ থেকে ১৭৫০ ফুট গভীরতায় আকরিক লোহার অস্থিত্ব পেয়েছি আমরা। এখন মজুদ ও বিস্তৃতি যাচাইয়ের জন্য জিএসবি ড্রিলিং চলছে।”
সেজন্য আরও কয়েকটি কূপ খনন করতে হবে জানিয়ে মাসুদ রানা বলেন, “ আগামী তিন মাসের মধ্যে এ বিষয়গুলো নিশ্চিত হওয়া যাবে।”