প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০১৯’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, “ট্যারিফ কমিশন মূলত ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর আমলে শুরু হয়, রাষ্ট্রপতির আদেশ দিয়ে এটি শুরু করা হয়। আনুষ্ঠানিতভাবে ১৯৯২ সালে এর আইন প্রণয়ন করা হয়।
“সেই আইনের মধ্যে কিছুটা ঘাটতি ছিল, সময়ের প্রেক্ষাপটে ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে।”
এ কারণে নতুন আইন করার প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় তোলা হয় জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, “নতুন আইনে তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করা সংক্রান্ত একটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে। কারণ এই প্রতিষ্ঠানটি খুব সংবেদনশীল।
“কোনো তথ্য যদি আগেই লিক (ফাঁস) করে দেয়, তাহলে এটা ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে বৈষম্য বা সংকট সৃষ্টি করতে পারে।”
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বরেন, নতুন আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে ট্যারিফ কমিশনের তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করতে সংশ্লিষ্টরা বাধ্য থাকবে।
কিন্তু কমিশনের কোনো কর্মী ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত গোপন তথ্য ফাঁস করে দিলে আইনে কী শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু বলেননি শফিউল।
নতুন আইনে মোটা দাগে চারটি বিষয়ে পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন আইন অনুযায়ী ‘ট্যারিফ কমিশন’ এর নাম পরিবর্তন করে ‘ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন’ করা হয়েছে। আর ১৯৯২ সালের আইনের ৭ ধারা প্রতিস্থাপিত করে কমিশনের কাজের আওতা বাড়ানো হয়েছে।
“যেমন শুল্কনীতি পর্যালোচনা, আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি, ট্রানজিট, ট্রান্সশিপমেন্ট, জিএসপি, শিল্প-বাণিজ্য বিনিয়োগ, শুল্কনীতি, বৈদেশিক বাণিজ্য- এরকম অনেক বিষয় কার্যপরিধিতে আনা হয়েছে, কার্যপরিধি ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে।”
শফিউল জানান, গবেষণা বা সমীক্ষার কাজে সহায়তা করতে কমিশন সরকারের অনুমোদন নিয়ে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক পরামর্শক ও গবেষণা সহায়তাকারী নিয়োগ করতে পারবে।
নতুন আইন পাস হলে কমিশন প্রয়োজনীয় সংখ্যক পরামর্শক নিয়োগ করতে পারবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।