আসন্ন বাজেট নিয়ে শনিবার ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে অর্থনীতি সমিতির প্রস্তাব তুলে ধরার সময় এই আহ্বান জানান।
এবার বোরো ধান আবাদ করে উৎপাদন খরচ উঠছে না বলে কৃষকদের মধ্যে অসন্তোষ চলছে। মাঠের পাকা ধানে আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
বারকাত বলেন, “এবছর বোরো ধানে কৃষকের প্রকৃত লোকসান হবে কমপক্ষে ৫০০ টাকা। এ নিয়ে সরকারের চিন্তিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।”
অর্থনীতির অধ্যাপক বারকাত বলেন, বর্তমানে প্রতিমন বোরো ধান উৎপাদনে ৬০০ টাকার বেশি উৎপাদন খরচের যে হিসাবটি দেওয়া হয়, তা সংশ্লিষ্ট কৃষাণ ও কৃষাণীর পারিশ্রমিক বাদ দিয়ে করা হয়।
“ওই পারিশ্রমিক হিসাব করলে আরও বেশি। তাই বোরো ধানের বিক্রয় মুল্য এক হাজার ২০০ টাকা করা উচিৎ।”
সরকারকে তিনি বলেন, “সরকারিভাবে সংগ্রহের ক্রয়মূল্য শুধু উৎপাদন খরচের তুলনায় কমপক্ষে ২০ শতাংশ বাড়ালেই হবে না। নিশ্চিত করতে হবে, প্রকৃত কৃষকই যেন ঝামেলা ছাড়াই ওই বাজারমূল্য পান।”
কৃষকদের জন্য স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা এবং কৃষিঋণ মওকুফের সুপারিশও করেন অর্থনীতি সমিতির সভাপতি।
“দেশকে খাদ্যে স্বয়সম্পূর্ণ রাখতে হলে একজন কৃষক যখন উৎপাদনে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন, তখন তার জন্য স্বল্পসুদে পারলে বিনা সুদে ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। কোনো কারণে ফসল মার খেলে বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে ফসল নষ্ট হয়ে গেলে, ওই ঋণ মওকুফ করে দিতে হবে।”