কক্সবাজারে রেল লাইন: দ্বিতীয় ধাপে ৪০ কোটি ডলার দিচ্ছে এডিবি

চট্টগ্রামের দোহাজারি থেকে রামু, কক্সবাজার শহর হয়ে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ধাপে ৪০ কোটি ডলার দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 May 2019, 02:32 PM
Updated : 23 May 2019, 02:32 PM

বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ প্রায় তিন হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার শেরেবাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সম্মেলন কক্ষে এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং এডিবির আবাসিক প্রতিনিধি মনমোহন প্রকাশ নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

১০২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের এই প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামের দোহাজারি থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। এ প্রকল্পে এডিবির মোট ১৫০ কোটি ডলার দেওয়ার কথা রয়েছে।

সংস্থাটি এর আগে ২০১৭ সালের ২০ জুন স্বাক্ষরিত এক চুক্তির মাধ্যমে প্রথম কিস্তিতে সরকারকে ৩০ কোটি ডলার দেয়। দ্বিতীয় ধাপে দেওয়া দিচ্ছে এই ৪০ কোটি ডলার।

এরপর ২০২০ সালে তৃতীয় কিস্তিতে ৫০ কোটি ডলার এবং সর্বশেষ ২০২২ সালে ৩০ কোটি ডলার দেওয়ার কথা রয়েছে তাদের। এ পর্যন্ত প্রকল্পটির ২৭ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী এই ঋণের সুদের হার প্রায় ২ শতাংশ হতে পারে। পাঁচ বছরের রেয়াতকালসহ ২৫ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

দোহাজারি থেকে কক্সবাজার হয়ে ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার উদ্দেশ্যে সরকারের অগ্রাধিকারভুক্ত এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। একইসঙ্গে এই রেলপথটি পর্যটন শহর কক্সবাজারের সঙ্গে রেলওয়ে সংযোগ স্থাপন করবে। এই দীর্ঘ রেলপথটি নির্মাণে ৪৭টি সেতু, ১৪৯টি বক্সকালভার্ট ও ৫২টি পাইপ কালভার্ট তৈরি করতে হচ্ছে।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে মনমোহন প্রকাশ বলেন, “বাংলাদেশে নিরাপদ, সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব রেল খাতের উন্নয়নে এডিবি প্রতিশ্রুত।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এ অঞ্চলের বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও পর্যটন খাত বিকশিত হবে।”

অনুষ্ঠানে ইআরডি সচিব বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় মোট ১০২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে এডিবি অর্থায়ন করছে। এখানে সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ নতুন ট্র্যাক নির্মাণ করা হবে।

এ রেলপথের মধ্যে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, কক্সবাজারের চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ঈদগাঁও, রামু, কক্সবাজার সদর ও উখিয়াসহ নয়টি স্টেশন নির্মাণ করা হবে।