পাবনার বেড়ায় হবে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র

আরও একটি পরিবেশবান্ধব সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 May 2019, 03:55 PM
Updated : 22 May 2019, 03:55 PM

পাবনার বেড়ায় ৩ দশমিক ৭৭ মেয়াওয়াট ক্ষমতার এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

বুধবার এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এই বৈঠক হয়।

অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে মোট তিনটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তার একটি হচ্ছে পাবনার বেড়া উপজেলায় ৩ দশমিক ৭৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার সোলার বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের ক্রয় প্রস্তাব।

মোস্তফা মটরস এবং ইলেক্ট্রিক সায়েন্স এন্ড সোলারল্যান্ড টেকনোলজি লিমিটেড যৌথভাবে এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপন করবে। সরকার এ প্রকল্প থেকে ২০ বছর পর্যন্ত প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ ৮ টাকা ৫৯ পয়সা দরে কিনবে।

মুস্তফা কামাল বলেন, “এই দরে কেন্দ্রটি থেকে ২০ বছর ধরে বিদ্যুৎ কিনলে ১০৫ কোটি টাকা খরচ হবে।”

বৈঠকে অনুমোদন পাওয়া অরেকটি প্রস্তাব হচ্ছে বিজেএমসির কাছ থেকে খাদ্য মন্ত্রণালয় সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ৩০ কেজি ধারণক্ষমতার ১ কোটি পিস হেসিয়ান বস্তা কেনা। খাদ্য মন্ত্রণালয় ৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বস্তা কিনবে।

এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, “পাটকলগুলোতে এখনও ৪৪ হাজার শ্রমিক রয়েছে। তাদের বেতন দেওয়া হচ্ছে। আশা করি, এ পরিমাণ বস্তা অবশ্যই তারা উৎপাদন করতে পারবে।”

ভূরুঙ্গামারী-সোনাইহাট স্থলবন্দর-ভিতরবন্দ-নাগেশ্বরী মহাসড়কের দুধকুমার নদীর উপর একটি সেতু স্থাপনের প্রস্তাবটিও অনুমোদন পায় সভায়। এ সেতুটি স্থাপন করবে এমএম বিল্ডার্স লিমিটেড। এতে ব্যয় হবে ১৩৬ কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রী জানান, সভায় নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় জাপানের সুমিতোমো কর্পোরেশন ও বাংলাদেশ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) যৌথ উদ্যোগে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের প্রস্তাবও নীতিগত অনুমোদন পায়।

‘ডেভেলপমেন্ট অব ওয়াটার ডিস্ট্রিবিউশন এন্ড সাপ্লাই ফ্যাসিলিটিজ অ্যাট পূর্বাচল নিউটাউন‘ প্রকল্পটিও নীতিগত অনুমোদন পায় সভায়। পিপিপির মাধ্যমে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

এ প্রকল্পটির বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “পূর্বাচল সিটিতে মেঘনা নদী থেকে পানি আনার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে যে পর্যন্ত মেঘনা থেকে পানি না আসা পর্যন্ত আমরা সার্ফেস ওয়াটারের ব্যবস্থা করব। কারণ ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করলে পানির স্তর কমে গিয়ে সমস্যা হতে পারে।”