‘অর্থপাচার রোধে সমন্বিত উদ্বোগ নিতে হবে’

অর্থপাচার রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে সমন্বিতভাবে কাজ করার পরামর্শ এসেছে এক আলোচনা থেকে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 May 2019, 01:17 PM
Updated : 20 May 2019, 01:17 PM

বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) অর্থপাচার নিয়ে এই আলেঅচনার আয়োজন করে।

আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, বাণিজ্যকেন্দ্রীক অর্থপাচার রোধে এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।  একটি নীতিমালা তৈরি করছে; যা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সারা  বিশ্বে এখন অর্থপাচার একটি চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশও এর আওতার বাইরে নয়।

“এ সমস্যা মোকাবেলায় সব সংস্থাকে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।”

তিনি বলেন, অর্থপাচার রোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার অপেক্ষায় না থেকে ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব ডাটা ব্যাংক গড়ে তুলতে হবে। একই সঙ্গে এ ডাটা ব্যাংক অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নিজেদের কাজে ব্যবহার করতে পারে তার উদ্যোগও নিতে হবে।

সোমবার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘অ্যাড্রেসিং ট্রেড বেজড মানি লন্ডারিং ইন বাংলাদেশ: অ্যান অ্যাসেসমেন্ট’ শীর্ষক আলোচনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক বরকত-এ-খোদা, পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ইয়াছিন আলি, ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক মাঈনুদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের পরিচালক শাহ মো. আহসান হাবীব।

আলোচনায় বরকত-এ-খোদা বলেন, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও জনশক্তি নেই। এদিকে নজর দিয়ে ব্যাংকারদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর নির্ভর না করে প্রত্যেক ব্যাংকের নিজস্ব ডাটা ব্যাংক করতে হবে। যা অন্যান্য ব্যাংকগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে পারে।

হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, অর্থপাচার প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। ব্যাংক এবং সকল স্টেক হোল্ডারের সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন। ব্যাংকের এডি শাখাগুলোকে সুষ্ঠু মনিটরিং করতে হবে। একই সঙ্গে পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল দিতে হবে।

“ব্যাংকারদের ব্যাংকিংয়ের পাশপাশি ট্রেড এর খুঁটিনাটি জানতে হবে। বাণিজ্য পণ্যের মূল্য নির্ধারণে ব্যাপারে বিদেশী সংস্থার সহায়তা প্রয়োজন।”

ইয়াছিন আলি বলেন, ক্রেডিট রিপোর্ট ব্যাংকারদের ভালোভাবে জানতে হবে। প্রত্যেক ব্যাংক এলসি খোলার ডাটাবেজ করলে অর্থপাচার রোধে ভূমিকা রাখবে।

ফারুক মাঈনুদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্রাহক এবং ব্যাংকার সব পর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। অর্থপাচারের পেছনের কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে।