পিএসআইয়ের আদলে এনবিআরে হবে আলাদা সেল: অর্থমন্ত্রী

আমদানি-রপ্তানির মাধ্যমে অর্থ পাচার ঠেকাতে পিএসআইয়ের (প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন) আদলে জাহাজিকরণের আগে পণ্য যাচাই-বাছাইয়ের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে আলাদা সেল খোলা  হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 May 2019, 12:33 PM
Updated : 16 May 2019, 12:33 PM

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত জাতীয় সমন্বয় কমিটির সভা শেষ সাংবাদিকদের সামনে একথা একথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বড় আকারের অর্থ পাচার হয় ব্যাংক ও রাজস্ব ব্যবস্থার মাধ্যমে। ওভার বা আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং বন্ধে স্ক্যানার ব্যবহার করা হবে। ওভার বা আন্ডার প্রাইসিং চেইক করার জন্য আগে ইন্সপেকশন কোম্পানি ছিল সেরকম পিএসআই আদলে এনবিআর অফিসে আলাদ সেল থাকবে।

তিনি বলেন, এ সেল প্রত্যেকটি পণ্যের মূল্য পরীক্ষা করবে। এছাড়া কোনো পণ্যের আড়ালে পাথর বা ইটবালি থাকতে পারে। সেধরণের কনসাইসমেন্টে থাকলে বাজেয়াপ্ত করা হবে।যারা সেটা করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ মামলা হবে এবং তাদের শাস্তি পেতে হবে।

২০১৩ সালের ৩০ জুন থেকে প্রাক্-জাহাজীকরণ প্রথার (পিএসআই) বাধ্যবাধকতা তুলে দেয় সরকার। ২০০০ সালে বাধ্যতামূলকভাবে পিএসআই ব্যবস্থা চালুর পর সুইজারল্যান্ডভিত্তিক কোম্পানি এসজিএস, ফ্রান্সভিত্তিক ব্যুরো ভেরিটাস, ব্রিটিশভিত্তিক আইটিএস ও জাপানভিত্তিক কোম্পানি অমিক বাংলাদেশের হয়ে কাজ করত।

তারা পণ্যের গুণগত মান, পরিমাণ, মূল্য, এইচএস কোড (পণ্য পরিচিতি কোড) ও আমদানিযোগ্যতা নিশ্চিত করে সিআরএফ (ক্লিন রিপোর্ট ফাইন্ডিংস) সনদ ইস্যু করে থাকে। এর ভিত্তিতে পণ্যের শুল্কায়ন করে মালামাল খালাস করা হয়। পিএসআই কোম্পানি যে সেবার বিপরীতে নির্ধারিত হারে চার্জ কেটে নেয়। আমদানিকারকরা পিএসআইয়ের জন্য ১ শতাংশ হারে চার্জ দিয়ে থাকেন। তার একটি অংশ পায় সরকার।

অর্থ পাচার প্রতিরোধে আরো কঠোর হতে প্রচলিত আইন শিগগিরই সংশোধন করা হবে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “যখন আইনগুলো করা হয়, তখন মানিলন্ডারিং বিষয়গুলো ছিল না বা টেররিস্ট ফাইন্যান্সিং নামে কিছু ছিল না, সেখানে অ্যামেন্ডমেন্ট আকারে অবশ্যই করব।

তিনি বলেন, “দেশে অনেক বিদেশি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে, যেগুলো সরকারকে রাজস্ব দেয় না। এদের রাজস্ব নিশ্চিত করতে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। এতে কিছু হলেও রাজস্ব পাব।”

অর্থ বিভাগ সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির ও এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।