চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ

স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের রপ্তানি খাত যেসব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে, তা মোকাবেলার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ এসেছে একটি আলোচনা অনুষ্ঠান থেকে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 May 2019, 05:53 PM
Updated : 11 June 2019, 11:21 AM

স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের রপ্তানি খাত যেসব চ্যালেঞ্জের মূখে পড়বে, তা মোকাবেলার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ এসেছে একটি আলোচনা অনুষ্ঠান থেকে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হওয়ার পর বাংলাদেশে বিশেষ করে প্রতিযোগী দেশগুলোর কাছে চ্যালেঞ্জের মূখে পড়বে।

কোটা ও শুল্কমুক্ত সুবিধা চলে গেলে কী হবে, তা নিয়ে ভয় না পেয়ে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি, বিনিয়োগের অনুকুল পরিবেশ তৈরি এবং বিশ্বের শক্তিশালী অর্থনীতির দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছেন তারা।

সোমবার বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘কারেন্ট ডিবেটস অ্যাট দ্যা ডাব্লিউটিও অ্যান্ড দ্যা এলডিসি কনসার্নস’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তাদের এই পরামর্শ আসে।

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় ডাব্লিউটিও এলডিসি সাব কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদুত মনিক ফন ডালেন, সিপিডি চেয়ার‌ম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান এবং বিজিএমইএ প্রেসিডেন্ট রুবানা হকসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।

দেবপ্রিয় বলেন, “আগামী ২০২৪ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর আমাদের রপ্তানি কতটা চ্যালেঞ্জের মূখে পড়বে, তা নিয়ে এখনও শুধু আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ।

“ওই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশের বিনিয়োগ প্রতিবন্ধকতা দুর করার পাশাপাশি কিভাবে আমাদের প্রতিযোগি দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়ানো যায়, দেশের আভ্যন্তরীন প্রতিবন্ধকতা দুর করতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।”
রপ্তানি বাণিজ্য কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মূখে পড়বে, তা নিয়ে এখন থেকে পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নে বিনিয়োগ ও কী তৎপরতা দরকার, তা চিহ্নিত করার পরামর্শ দেন তিনি।

যে সমস্ত প্রতিবন্ধকতা দেশের ভিতরেই প্রতিযোগিতার সক্ষমতাকে আটকে রাখে, বিনিয়োগকে আটকে রাখে, সেগুলো দূর করার বেশি জোর দেন দেবপ্রিয়।

অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, পৃথিবীতে রপ্তানিতে সফল দেশগুলো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে রপ্তানি বাড়িয়েছে।

“যেমন, ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একান্তই দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ও সম্পর্কের ভিত্তিতে ব্যবসা ও রপ্তানি সুবিধা পেয়েছে। একইভাবে চীন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসাও একইভাবে হয়েছে।

“পৃথিবীতে এখন বৃহত্তম দুটি অর্থনীতির দেশ হচ্ছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের উচিত হবে বিশেষ করে এই দুই দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চালিয়ে রপ্তানি আরও বাড়িয়ে নেওয়া।”

নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ফন ডালেন বলেন, এলডিসি থেকে বের হওয়ার পর বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের বহুমুখীকরণ দরকার।