সংসদীয় কমিটির ডাকে যাননি ব্যাংক কর্তারা

ব্যাংক ঋণের সুদ হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনার জন্য ব্যাংক কর্মকর্তাদের সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ডাকা হলেও তাদের কেউ যাননি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 April 2019, 04:10 PM
Updated : 15 April 2019, 04:16 PM

এ নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্যরা।

সোমবার এই বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ সাংবাদিকদের বলেন, “বেলা ১১টায় বৈঠক শুরু হয়ে শেষ হয় পৌনে ২টায়। বৈঠকের শুরুতে তাদের উপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে উপস্থিত কেউ একজন জানিয়েছিলেন তারা ‘অন দ্যা ওয়ে’। বৈঠকের শেষ পর্যন্ত তাদের কাউকেই দেখা যায়নি।”

বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সব ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি’র চেয়ারম্যান ও বেসরকারি ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিএবি’র চেয়ারম্যানকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

আ স ম ফিরোজ বলেন, “তারা ব্যাংক ঋণের সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা বাস্তবায়ন করছে না। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনাও চলছে। বিষয়টা নিয়ে কমিটি উদ্বিগ্ন।”

এই সংসদ সদস্য বলেন, “তারা বলেছিল, সরকারি টাকার ৫০ ভাগ আমানত জমা পেলে তারা একক ডিজিটে সুদ হার বাস্তবায়ন করতে পারবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তারা সেই সুবিধা নিলেও এখনও সুদের হার একক সংখ্যায় আনতে পারেনি।”

এখন ব্যাংক ঋণের সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনতে ব্যাংকগুলোর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংককে উদ্যোগ নিতে বলেছে সংসদীয় কমিটি। 

“বাংলাদেশ ব্যাংককে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী দুই মাসের মধ্যে ব্যাংক ঋণের সুদের হার একক সংখ্যায় আনতে হবে। এজন্য ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংককে পৃথক চুক্তি সইয়ের জন্যও বলা হয়েছে।”

এদিকে বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যাংক ঋণের সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে বা একক সংখ্যায় বাস্তবায়নের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও তফসিলি ব্যাংকগুলোকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

এছাড়াও বৈঠকে জানানো হয় যে, শিল্প মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত পোশাক শিল্পের ২৭৯টি এবং নন টেক্সটাইল শিল্প খাতের দুই দফায় মোট ৪১১টি প্রতিষ্ঠান রুগ্ন শিল্প হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আ স ম ফিরোজের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, নারায়ন চন্দ চন্দ্র, মাহাবুব-উল-আলম হানিফ, মির্জা আজম ও নজরুল ইসলাম অংশ নেন।