এনবিআরের সার্ভারে ঢুকে পণ্য খালাসের তদন্তে দুদক

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সার্ভারে ঢুকে পণ্য পাচারের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 April 2019, 12:59 PM
Updated : 15 April 2019, 12:59 PM

দুদকের পরিচালক মো. ইউসুফের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দলকে এ অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

সোমবার তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঘটনাটি অনুসন্ধান করে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করতে অনুসন্ধান কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ওপর ভিত্তি করে এ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান প্রনব।

প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, কাস্টমস কর্মকর্তাদের সরকারি আইডি ও পাসওয়ার্ড চুরি করে পণ্য পাচারে জড়িত সংঘবদ্ধ একটি চক্র তিন বছরের বেশি সময় ধরে এনবিআরের সার্ভারের অবৈধ ব্যবহার করেছে। আর এ সময়ে চক্রটি শত শত কোটি টাকার পণ্য চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছাড় করে নিয়ে গেছে।

চক্রটি এই সার্ভারে ২০১৬ সাল থেকে তিন হাজার ৭৭৭ বার লগইন করেছে বলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের এক তদন্তে ধরা পড়েছে।

এতে সহায়তা করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টম, বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত বেসরকারি সংস্থার কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী।

এই জালিয়াত চক্র চিহ্নিত হয়েছে বলে গত ২৮ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছিলেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সহিদুল ইসলাম।

তিনি জানান, জালিয়াতির মাধ্যমে পণ্য খালাসের ঘটনায় রমনা থানায় গত ১৬ জানুয়ারি একটি মামলা হয়। এই প্রক্রিয়ায় ৩০টি কনটেইনার ছাড় করা হয়েছিল।

জালিয়াতির মাধ্যমে পণ্য খালাসের ঘটনায় চারটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে বলে জানান শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তদন্ত কমিটির প্রধান কমিশনার (আপিল) ফখরুল আলম, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে কমিটির নেতৃত্বে আছেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবদুল হাকিম, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের (সিআইসি) কমিটির প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিচালক খালেদ মোহাম্মদ আবু হোসেন এবং চট্টগ্রাম কাস্টমসের গঠিত কমিটির প্রধান যুগ্ম কমিশনার এইচ এম শরিফুল হাসান।