এনবিআরের প্রাক-বাজেট আলোচনা ৩১ মার্চ থেকে

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রাক-বাজেট আলোচনা ৩১ মার্চ থেকে শুরু হবে।

প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 March 2019, 05:45 PM
Updated : 19 March 2019, 05:45 PM

বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের মধ্য দিয়ে এই আলোচনা শুরু করছে এনবিআর; সভাটি হবে ঐ দিন বেলা ১১টায়।

এই মতবিনিময় চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত।

মোট ২২টি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের শুল্ক, ভ্যাট  এবং কর সংক্রান্ত বিষয়ে মতবিনিময় করবে এনবিআর।

সব বৈঠকেই সভাপতিত্ব করবেন এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। অনুষ্ঠিত হবে সেগুনবাগিচায় বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে। সব বিভাগীয় শহরেও একটি করে মতবিনিময় সভা হবে।

মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।

১ এপ্রিল বিকেল ৩টায় ফরেন ইনভেস্টমেন্ট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

২ এপ্রিল সকালে ঢাকা চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-ডিসিসিআই এবং বাংলাদেশ চেম্বারের নেতাদের সঙ্গে হবে আলোচনা।

বিকেলে বৈঠক হবে ব্যাংক, বীমা, স্টক এক্সচেঞ্জ এবং  মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রতনিধিদের সঙ্গে।

বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএসহ বন্ড সুবিধাপ্রাপ্ত রপ্তানি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হবে ৩ এপ্রিল।

চট্টগ্রাম চেম্বার, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন চেম্বার, সিএন্ডএফ এসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম বিভাগের জেলা ডিসিদের সঙ্গে বৈঠক হবে ৪ এপ্রিল।

৭ এপ্রিল মেট্টোপলিটন চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-এমসিসিআই,  বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া চেম্বার এবং উইমেন চেম্বারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হবে।

 অর্থনীতিবিদ ও পেশাজীবিদের সঙ্গে বৈঠক হবে ৯ এপ্রিল সকাল ১০টায়।

১০ এপ্রিল হোটেল, রেস্টুরেন্ট, গেস্ট হাউজ, কাগজ, মুদ্রণ, প্রকাশনা, চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপন এবং ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ সেবাখাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় হবে।

এনবিআরের তালিকা অনুযায়ী,  ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এবং এনবিআরের আয়োজনে এনবিআর এবং এফবিসিসিআই পরামর্শক কমিটির সভা হবে ১১ এপ্রিল সকাল ১০টায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে।

১৫ এপ্রিল দুপুরে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা), বিল্ডসহ কয়েকটি সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হবে।

বিকেলে মতবিনিময় হবে বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন এবং বেভারেজ ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে।

১৬ এপ্রিল নির্মাণ, অন্যান্য শিল্প ও ব্যবসা খাত এবং রিহ্যাব, ১৭ এপ্রিল ইলেক্ট্রিক্যালস, ইলেক্ট্রনিক্স, আইসিটি   ও টেলিযোগাযোগ, ১৮ এপ্রিল অটোমোবাইল ও পরিবহন খাত, ২০ এপ্রিল সিলেট চেম্বার ও সিলেট বিভাগের ভিগীয় কমিশনার এবং ডিসিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে এনবিআর।

ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনা  হবে ২২ এপ্রিল।

২৩ এপ্রিল হবে কৃষি, পোল্ট্রি, তৈল, গ্যাস, খাদ্য ও পানীয়, কেমিক্যালস, পেইন্ট ভার্নিস, চামড়া, কসমেটিকস, টয়লেট্রিজ এবং জুয়েলারি সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হবে।

২৫ এপ্রিল খুলনা চেম্বারের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়রে মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের প্রাক-বাজেট আলোচনা।

দেশের শিল্প বিকাশে বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধিরা এসব আলোচনায় যেসব প্রস্তাব দেবেন, সেগুলো পর্যালোচনা করে বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হবে।

বরাবরের মতো এবারও জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

মাসব্যাপী আলোচনার পর ৩০ জুন তা পাস হবে। আর নতুন অর্থবছর শুরু হবে পহেলা জুলাই থেকে।

এরইমধ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনা শুরু করেছেন অর্থমন্ত্রী।

নতুন বাজেটের আকার সোয়া পাঁচ লাখ কোটি টাকার মত হতে পারে বলে  আভাস দিয়েছেন তিনি।

চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের আকার ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা।

২৭ মার্চের মধ্যে বাজেট প্রস্তাব দিতে হবে

অপর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেটের জন্য শিল্প ও বণিক সমিতি, ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন, পেশাজীবী সংগঠন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব চেয়েছে এনবিঅঅর।

২৭ মার্চের মধ্যে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও এনবিআরে লিখিতভাবে এই প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারের রাজস্ব আহরণ ও বাজেট প্রণয়নে রাজস্ব নীতিমালা প্রস্তত করে এনবিআর। এ লক্ষ্যে তারা একটি অংশগ্রহণমূলক, গণমুখী ও সুষম বাজেট প্রণয়নে বরাবরই বিভিন্ন পর্যায়ের করদাতা, বিভিন্ন শিল্প ও বণিক সমিতি, ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন, পেশাজীবী সংগঠন, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও দেশের বুদ্ধিজীবী মহলের কাছ থেকে বাজেট প্রস্তাব আহ্বান করে থাকে।

একইভাবে তাদের সঙ্গে রাজস্ব আহরণ পদ্ধতি নিয়েও আলোচনা অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করে এনবিআর।

বিভিন্ন খাত থেকে পাওয়া প্রস্তাবগুলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে। যেসব প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা দপ্তর কোনও চেম্বার বা অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য নয়, তারাও সরাসরি এনবিআরের মেইলের মাধ্যমে বাজেট প্রস্তাব পাঠাতে পারবে।

সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের জন্য একটি অংশীদারিত্বমূলক, গণমুখী, শিল্প, ব্যবসা ও করবান্ধব এবং একই সঙ্গে রাজস্ব সম্ভবনাময় বাজেট প্রণয়ন করা সম্ভব হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।।

“রাজস্ব আহরণ কার্যক্রমকে অধিকতর অর্থবহ, বিশ্লেষণধর্মী ও প্রতিনিধিত্বশীল করার জন্য রাজস্ব বোর্ড আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাজেট প্রণয়নে আগ্রহী। অর্থমন্ত্রী অর্থনীতিবিদ ও গবেষকদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনা শুরু করেছেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডেও বাজেট প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়েছে।”