শনিবার বিকেলে রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “আমি বইটি পুরোটা পড়েছি। সালাউদ্দিন যেটা লিখেছেন, সেটা স্মৃতিকথা, তার স্মৃতিতে যে বিষয়গুলো গেঁথে গেছে তাই তিনি লিখেছেন। তিনি সহজ-সরল, আন্তরিক ভাষায় বইটি লিখেছেন, কোনো আড়ম্বর নেই, ঝরঝরে ভাষায়। যা বলার তাই তিনি বলেছেন, যে কারণে বইটি দলিল হয়ে থাকেবে।
“বইটিতে তিনি নিজেকে উন্নয়নকর্মী হিসেবে বলেছেন, কিন্তু উন্নয়ন প্রশাসনে এমন অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কেউ আছে বলে আমার মনে হয় না।”
গ্রামীণ উন্নয়নের সাথে জড়িত বিষয়গুলো বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “যেই মমতা ইমোশন দিয়ে তিনি বইটি লিখেছেন, তা একটি অত্যন্ত মানবতাবাদী ভালো মানুষের স্মৃতিকথা। ষাটের দশকের মধ্যবিত্ত পরিবারের দৃশ্য বইটিতে তিনি তুলে ধরেছেন।”
“বিশেষ করে গভর্নরের কাজে সরকারের কতটুকু হস্তক্ষেপ থাকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা বলতে কী বোঝায়, এ স্বাধীনতার জন্য কী করা উচিত- এ সম্পর্কে তিনি ভবিষ্যতের জন্য কিছু রেখে যেতে পারতেন।”
পল্লী উন্নয়ন ও ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচিতে তার ‘অসাধারণ’ অভিজ্ঞতা রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচি ও কুমিল্লা মডেলের বস্তুনিষ্ঠ কোনো বিশ্লেষণ তিনি করেননি বইটিতে। ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচি নিয়ে বিতর্ক আছে, এই বিতর্ক সম্পর্কে তিনি তার বিশ্লেষণ লিখলে আমরা উপকৃত হতাম।”
অনুষ্ঠানে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “বইটিতে আমি অর্থনীতি নিয়ে বিস্তারিত হয়ত লিখিনি, তবে ব্যক্তিজীবনের কিছু অভিজ্ঞতা এ বইয়ে লিখেছি। গ্রামের ঐতিহ্য, সম্প্রীতির বিষয়গুলো উল্লেখ করেছি।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এবি মির্জা আজিজুল ইসলাম, সাবেক রাষ্ট্রদূত এম সিরাজুল ইসলাম, বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ প্রমুখ।
সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০০৫ সালের মে মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে যোগ দেন এবং ২০০৯ সালের এপ্রিলে অবসর নেন। তিনি বর্তমানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক।