‘শেখ হাসিনা নকশিপল্লি’ প্রকল্পে একনেকের সায়

নকশি কাঁথার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে ‘শেখ হাসিনা নকশিপল্লি, জামালপুর (প্রথম পর্যায়)’ শীর্ষক একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 March 2019, 12:57 PM
Updated : 12 March 2019, 01:14 PM

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্পসহ দুই হাজার ৬৫০ কোটি টাকা ব্যয়ের ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। সকল অর্থই সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেওয়া হবে।

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জামালপুর সদর উপজেলা ও মেলান্দহের ৩০০ একর জমিতে স্থাপন করা হচ্ছে শেখ হাসিনা নকশিপল্লি।

৭২২ কোটি টাকা ব্যয়ে এ বছরের এপ্রিলে শুরু করে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

মন্ত্রী মান্নান বলেন, এ প্রকল্পটির মাধ্যমে জামালপুর ও শেরপুরের নকশি কাঁথা উদ্যোক্তা, হস্তশিল্পী, কারুশিল্পী, কুটির শিল্পী এবং তাঁতিদের জন্য নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। একই সঙ্গে আবাসন ও কারখানার সুযোগ রাখা হবে।

প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জামালপুরের বকশীগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ এবং সদর উপজেলাতে নকশি কাঁথা উৎপাদন হয়। তবে বর্তমানে জামালপুরের সব উপজেলাতেই এ শিল্পের কাজ হচ্ছে এবং প্রায় ৩০০ প্রতিষ্ঠান বা উদ্যোক্তা গড়ে উঠেছে।

পার্শ্ববর্তী শেরপুরের ৭৬ জন উদ্যোক্তা এবং তিন হাজার ৯৮৫ জন কাঁথা শিল্পী রয়েছেন। এছাড়া জামালপুরের সদর উপজেলায় দিকপাইত, মেষ্টা ও তিতপল্লী ইউনিয়ন এবং বকশিগঞ্জে বর্তমানে কিছু তাঁতি রয়েছে।

জামালপুর ও শেরপুর জেলার প্রায় ২৬১টি তাঁতি পরিবার বসবাস করে এবং ৩০৫ পিট ও চিত্তরঞ্জন ও ২০০টি জামদানি তাঁত আছে। কিন্তু নানা প্রতিকূলতায় শিল্পটির তেমন প্রসার ঘটেনি। এ পরিস্থিতিতে নকশি শিল্পী ও তাঁতিদের দারিদ্র্য বিমোচন এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

বৈঠকে অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে-

>> সরকারি কর্মচারী হাসপাতালকে ৫০০ শয্যায় উন্নীতকরণ প্রকল্প। এর ব্যয় ৩৭৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।

>> বরিশাল-ভোলা-লক্ষ্মীপুর জাতীয় মহাসড়কের (এন-৮০৯) বরিশাল (চার কাউয়া) থেকে ভোলা (ইলিশা ফেরীঘাট) হয়ে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প। এতে ব্যয় হবে ৩১২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।

>> সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘শরীয়তপুর (মনোহর বাজার) ইব্রাহিমপুর ফেরীঘাট পর্যন্ত সড়ক (আর-৮৬০) উন্নয়ন প্রকল্প। এতে ব্যয় হবে ৮৫৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

>> নীলফামারী-ডোমার (জেড-৫০০৩) সড়ক (নীলফামারী অংশ) এবং ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর (জেড-৫৮৫৭) সড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্প। এর ব্যয় ২৫০ কোটি ২৪ লাখ টাকা।

>> লেবু জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প। এতে ব্যয় হবে ১২৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।