অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বুধবার ‘বীমা করপোরেশন বিল- ২০১৯’ সংসদে উত্থাপন করেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
১৯৩৮ সালের ইনসুরেন্স করপোরেশন অ্যাক্ট রহিত করে নতুন আইন করতে এ বিলটি সংসদে তোলা হয়েছে। জীবন বীমা ও সাধারণ বীমাকে প্রস্তাবিত আইনের অধীনে রাখা হয়েছে।
এতদিন জীবন বীমা এবং সাধারণ বীমা করপোরেশনের অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন ছিল ২০ কোটি টাকা করে।
বিলে জীবন বীমা ও সাধারণ বীমা করপোরেশনের পরিচালনা বোর্ডের পরিচালকের সংখ্যা সাত থেকে বাড়িয়ে ১০ জন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
১৯৭৩ সালের আইনে সরকারি ৫০ শতাংশ বীমা বাধ্যতামূলকভাবে সাধারণ বীমা করপোরেশনের কাছে এবং অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ সাধারণ বীমা করপোরেশন অথবা অন্য কোনো বেসরকারি কোম্পানির কাছে করার বিধান ছিল।
প্রস্তাবিত আইনে কোনো সরকারি সম্পত্তি অথবা সরকারি সম্পত্তি সংশ্লিষ্ট কোনো ঝুঁকি বা দায় সম্পর্কিত সকল ধরনের নন-লাইফ বীমা সাধারণ বীমা করপোরেশনে শতভাগ অবলিখন (আন্ডারাইট) করে তার ৫০ শতাংশ নিজের কাছে রেখে বাকি অর্ধেক সকল বেসরকারি নন-লাইফ বীমা কোম্পানির মধ্যে সমহারে বণ্টন করার বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে।