মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন বলে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান জানিয়েছেন।
একনেক সভার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের বলেছেন, বেশ সড়ক আমরা করেছি। নতুন করে মহাসড়ক করার আর প্রয়োজন নেই। এখন রেলওয়ের দিকে নজর দিন।”
এছাড়া সড়ক, রেল ও নৌ পরিবহন নিয়ে একটি ‘জাতীয় গ্রিড’ করারও পরামর্শ দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
পরিবহন খাতের এই ‘জাতীয় গ্রিড’ কেমন হবে, তার একটি উদাহরণও দিয়েছেন তিনি।
“যেমন একজন মানুষ চট্টগ্রাম থেকে বরিশাল যাবেন। তিনি চট্টগ্রাম থেকে রেলের টিকেটে কেটে কমলাপুর রেলস্টেশন নেমে একই টিকেটে সদরঘাট গিয়ে বরিশালের লঞ্চ ধরে বরিশাল পর্যন্ত যাবেন। এটাই জাতীয় গ্রিড।”
প্রধানমন্ত্রী দেশের সব নদী, পুকুর ও জলাশয় রক্ষায় মনোযোগী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান মন্ত্রী।
একনেক সভায় অংশগ্রহণকারী পরিকল্পনা কমিশনের একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নতুন করে মহাসড়ক না করে রেলের দিকে নজর দেওয়ার নির্দেশনার পাশাপাশি ঢাকা থেকে কক্সবাজার এবং ঢাকা থেকে পায়রা সমুদ্র বন্দর পর্যন্ত দুটি রেল লাইন নির্মাণে প্রকল্প তৈরির নির্দেশনা দিয়েছেন।
“তিনি বলেছেন, শিগগির সৌদি আরবের একজন মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল দেশে আসতে পারে। তার আগেই প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরী করতে হবে।”
বর্তমানে দেশে জাতীয় মহাসড়ক রয়েছে ৩ হাজার ৮১২ কিলোমিটার। পাশাপাশি আঞ্চলকি মহাসড়ক রয়েছে মোট ৪ হাজার ২৪৭ কিলোমিটার। জেলা সড়ক রয়েছে ১৩ হাজার ২৪২ কিলোমিটার।
সড়কের তুলনায় রেলপথের পরিমাণ অনেক কম। দেশে মোট রেলপথ আছে ২ হাজার ৮৮০ কিলোমিটার। এরমধ্যে ব্রডগেজ ৬৬০ কিলোমিটার, ডুয়েলগেজ ৩৬৫ কিলোমিটার এবং প্রায় এক হাজার ৮৫৫ কিলোমিটার মিটারগেজ রেললাইন রয়েছে। দেশে মোট রেলস্টেশন আছে ৪৮৯টি।
নদীমাতৃক বাংলাদেশে প্রায় ৮ হাজার ৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ অভ্যন্তরীণ নাব্য জলপথ রয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৪০০ কিলোমিটার সারা বছর নৌ চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। অবশিষ্ট প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার শুধু বর্ষাকালে ব্যবহৃত হয়।