আড়াইহাজারে জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চলে আরেক ধাপ অগ্রগতি

জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে প্রায় এক হাজার একর জমি অধিগ্রহণের পর এবার ওই জমির উপর অবকাঠামো নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 March 2019, 11:56 AM
Updated : 5 March 2019, 11:57 AM

এজন্য ২ হাজার ৫৮২ কোটি টাকার ‘নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনক)।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেকের সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য অবকাঠামো উন্নয়নসহ ৬ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ের আটটি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় ৩ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা আর বাকি ২ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা হিসেবে জাপান সরকার এবং বিশ্ব ব্যাংক জোগান দেবে।

মন্ত্রী বলেন, “জাপানি ব্যবসায়ীদের জন্য বিনিয়োগ অবকাঠামো তৈরির ব্যয়ের ২ হাজার ১২৭ কোটি টাকাই জাইকা দিচ্ছে।”

২০২৩ সালের মধ্যে ভূমি উন্নয়নের কাজ শেষ করে বিনিয়োগের ক্ষেত্র প্রস্তুত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বাস্তবায়নকারী সংস্থা অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)।

প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আড়াইহাজারে জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য ৯৯১ দশমিক ৪৮ একর ভূমি অধিগ্রহণ চলমান রয়েছে।

প্রথম দিকে জাপানি বিনিয়োগকারী জন্য আড়াইহাজারে ৪৯১.৪৮ একর ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছিল।

পরবর্তীতে জাপানি বিনিয়োগকারীদের চাহিদার কারণে অতিরিক্ত আরও ৫০০ একর জমি নতুনভাবে অধিগ্রহণ করা হয়।

প্রস্তাবে বলা হয়, এ প্রকল্পটির মাধ্যমে ওই এলাকার ৭৯ লাখ ঘন মিটার ভূমি উন্নয়ন করা হবে। ৩৩৭ মিটার এক্সেস রোড নির্মাণ করা হবে। গ্যাস লাইন স্থাপনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও গ্যাস সরবরাহ করা হবে। পাওয়ার স্টেশন ও সাবস্টেশন এবং ট্রান্সমিশন লাইন স্থাপন এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে।

এছাড়াও প্রকল্প এলাকায় সংরক্ষণ খাল ও সংরক্ষণ পুকুর নির্মাণ এবং পাম্প স্টেশন স্থাপন করা হবে।

অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো

>> ‘তাঁতীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে চলমান মুলধন সরবরাহ ও তাঁতের আধুনিকায়ন’ প্রকল্প। এর ব্যয় ১৫৮ কোটি টাকা।

>> ‘কন্দাল ফসল উন্নয়ন’ প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

>> ‘জয়পুরহাট জেলায় তুলসীগঙ্গা, ছোট যমুনা, চিড়ি ও হারাবতী নদী পুনঃখনন’ প্রকল্প। এর ব্যয় ১২৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

>> ‘উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম সড়কে অনুর্ধ ১০০ মিটার সেতু নির্মাণ’ প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা।

>> ‘ঢাকা সিটি নেইবারহোড আপগ্রেডিং প্রজেক্ট (ডিসিএনইউপি)’। এর ব্যয় ৮৮০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।

>> ‘সমগ্র দেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও সংস্কার’ প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২২৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।

>> ‘প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল প্রণয়ন’ প্রকল্প। এর ব্যয় ১৬৪ কোটি টাকা।