রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল এখন ৩.৫ বিলিয়ন ডলার

রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) পরিমাণ আরও ৫০ কোটি ডলার বাড়িয়ে ৩৫০ কোটি (৩.৫ বিলিয়ন) ডলার করা হয়েছে।

আবদুর রহিম হারমাছিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Feb 2019, 02:53 PM
Updated : 27 Feb 2019, 02:53 PM

বাংলাদেশ ব্যাংক বুধবার এ তহবিল বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম।

‘রপ্তানি আয় বাড়াতেই ইডিএফের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে’ জানিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, প্রতিবছরই আমাদের রপ্তানি বাড়ছে। গত অর্থবছরে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৩৬.৬৭ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি পর‌্যন্ত (সাত মাসে) ১৪ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

“রপ্তানি আয় বৃদ্ধির ইতিবাচক এই ধারার সঙ্গে তালমিলিয়ে তৈরী পোশাকসহ সব খাতের রপ্তানিকারকদের চাহিদার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এ তহবিলের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।”

তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ এবং বস্ত্র শিল্প মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ’র অনুরোধে তহবিলেল পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে বলে জানান বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম।

রপ্তানি খাতে সহায়তা দিতে ১৯৮৯ সালে মাত্র তিন কোটি ডলার দিয়ে ইডিএফের যাত্রা শুরু হয়। দফায় দফায় বাড়িয়ে এই তহবিলের পরিমাণ এখন ৩৫০ কোটি (তিন বিলিয়ন) ডলারে দাঁড়িয়েছে।

বর্তমানে লাইবরের (লন্ডন ইন্টারব্যাংক অফার রেট) সঙ্গে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ যোগ করে ইডিএফের সুদের হার নির্ধারণ করা হচ্ছে।

ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইডিএফ থেকে লাইবর+১ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে রপ্তানিকারকদের লাইবর+২.৫ শতাংশ সুদে ঋণ দিচ্ছে।

রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের পরিমাণ বাড়ানোয় রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সহ-সভাপতি ফারুক হাসান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ইডিএফ ফান্ড থেকে ঋণ নিলে সুদের হার ব্যাংকের চেয়ে কম পড়ে। সে কারণে আমাদের অনেক রপ্তানিকারক এই ফান্ড থেকে ঋণ নিয়ে থাকেন।”

বিজিএমইএর সদস্যভূক্ত পোশাক রপ্তানিকারকরা এই তহবিল থেকে সর্বোচ্চ আড়াই কোটি (২৫ মিলিয়ন) ডলার ঋণ নিতে পারেন।বস্ত্র শিল্প মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর’র সদস্যরাও একই পরিমাণ ঋণ নিতে পারেন।

বিজিএমইএ, বিটিএমইএ সদস্যরা ছাড়াও চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক, ওষুধসহ বিভিন্ন খাতের রপ্তানিকারকরা এই তহবিল থেকে ঋণ সুবিধা পেয়ে থাকে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ২ হাজার ৪১৮ কোটি (২৪.১৮ বিলিয়ন) লাখ ডলার আয় করেছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি।

এই রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশের বেশি এসেছে তৈরি পোশাক থেকে।