১৭ লাখ বিদ্যুৎ গ্রাহক প্রিপেইড মিটারে: প্রতিমন্ত্রী

দেশে ১৭ লাখের বেশি বিদ্যুৎ গ্রাহককে পোস্টপেইড থেকে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Feb 2019, 05:22 AM
Updated : 27 Feb 2019, 05:22 AM

মঙ্গলবার সংসদ অধিবেশনে তিনি জানান, ২০২১ সালের মধ্যে দেশের সব শহর এলাকা এবং ২০২৫ সালের মধ্যে গ্রাম এলাকার সব গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

আওয়ামী লীগের এমপি ওয়ারেসাত হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে সংসদকে এই তথ্য দেন নসরুল হামিদ।

সরকারের পাওয়ার সেলের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের মোট গ্রাহক সংখ্যা সোয়া তিন কোটি। দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৯৩ শতাংশ বর্তমানে বিদ্যুত সুবিধা পাচ্ছে।

এমপি শহিদ ইসলামের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “দেশের নদীবক্ষের বালিতে মূল্যবান খনিজের উপস্থিতি আছে কি না তা নির্ণয় ও এর অর্থ মান নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ের অধীন ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে।”

হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট ও কুমিল্লার গেজেটভুক্ত স্থান থেকে এখন সিলিকা বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালে দেশে ৬৫ লাখ ৫ হাজার ৩০৮ মেট্রিক টন জ্বালানি তেল আমদানি করা হয়েছে। তাতে ব্যয় হয়েছে আনুমানিক ৩২ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা।

দিদারুল আলমের আরেক প্রশ্নে নসরুল হামিদ বলেন, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিষ্পত্তির পর বাংলাদেশ গভীর ও অগভীর সমুদ্রে পাঁচটি কোম্পানির সঙ্গে চারটি ব্লকে উৎপাদন বণ্টন চুক্তির মাধ্যমে তেল–গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ শুরু করেছে।

“ইতোমধ্যে টুডি ও সাইসমিক জরিপের কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের কাজ চলছে।”

মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, চলতি অর্থ বছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে বিটিভি বিজ্ঞাপন মাশুল বাবদ ৮ কোটি ৮০ লাখ ৫৫ হাজার ৫৮৪ টাকার রাজস্ব আয় করেছে।

নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো গ্যারান্টিসহ চিকিৎসার বিজ্ঞাপন প্রচার করছে বলে শুনেছি। তবে এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কাছে কেউ সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ করেনি।”

মো. সেলিমের এক প্রশ্নে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, দেশে চাহিদার তুলনায় উৎপাদিত রাসায়নিক সারের ঘাটতির পরিমাণ ১৬ দশমিক ০৫ লাখ মেট্রিক টন।