চূড়ান্ত অনুমোদন পেল ইস্ট ওয়েস্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল

প্রাক যোগ্যতা সনদ নেওয়ার দেড় বছর পর চূড়ান্ত অনুমোদন পেল বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইস্ট ওয়েস্ট বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Feb 2019, 05:08 PM
Updated : 25 Feb 2019, 05:09 PM

এটি বেসরকারি খাতের দশম অর্থনৈতিক অঞ্চল; যারা চূড়ান্ত লাইসেন্স পেয়ে শিল্প প্রতিষ্ঠার দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেলো।

এই অর্থনৈতিক অঞ্চলটি হজরত শাহাজালাল বিমান বন্দর থেকে ৩২ কিলোমিটার এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ- বেজার কার্যালয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চলটির কর্ণধার শাফিয়াত সোবহানের হাতে চূড়ান্ত অনুমোদনপত্র তুলে দেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী।

২০১৬ সালের জুলাই মাসে কোন্ডা ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকায় ২১৮ একর জমির ওপর ‘ইস্ট-ওয়েস্ট স্পেশাল ইকোনমিক জোনের প্রাক যোগ্যতা সনদ দেওয়া হলেও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয় ১০২ দশমিক ৬৯৯২ একর এলাকা জুড়ে।

অনুষ্ঠানে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, ঢাকার অদূরে হওয়ায় ইস্ট ওয়েস্ট স্পেশাল ইকোনমিক জোন দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাবে।

নিমতলী, চকবাজারের মত ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে পরিকল্পিত শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলতে উদ্যোক্তাদের অনুরোধ জানান তিনি।

ইস্ট ওয়েস্ট বিশেষ অর্থণৈতিক অঞ্চলের কর্ণধার শাফিয়াত সোবহান বলেন, দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে এবং রপ্তানীযোগ্য পণ্য তৈরিতে বসুন্ধরা গ্রুপ সুনামের সাথে কাজ করে আসেছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের মাধ্যমে তার প্রতিষ্ঠান দেশ এবং দেশের বাইরের বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য একটি ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে আগ্রহী।

অর্থনৈতিক অঞ্চলটিতে ফুড প্রোসেসিং, এলপিজি সিলিন্ডার, এডিবল ওয়েল, বিটুমিন, প্যাকেজিং ভিত্তিক শিল্প-কারখানা গড়ে তোলা হবে বলে বেজাকে জানিয়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট স্পেশাল ইকোনমিক জোন কর্তৃপক্ষ।

তারা জানায়, সেখানে বিনিয়োগের পরিমাণ হবে ২৬ কোটি (প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা) ডলার। ২০ হাজার লোকের প্রত্যক্ষ এবং ৫০ হাজার মানুষের পরোক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃস্টি হবে এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, কারখানা ও প্রশাসনিক ভবন, পণ্যাগার, লজিস্টিক এলাকা, পানি ও বর্জ্য শোধনাগার,সড়ক ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় স্থাপনা গড়ে তোলা হবে। স্বাস্থ্য সেবা, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং সবুজায়ন করা হবে।

বেজার চূড়ান্ত লাইসেন্স পাওয়া ৬টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১৭টি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করেছে। আরও ২১টি শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মাণাধীন রয়েছে।

এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রায় ৩ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ এবং ১৯ হাজার ৭৮৫ জন লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে বেজা।

বেসরকারি খাতের বসুন্ধরা গ্রুপ একই এলাকায় ২২৪ একর জমির ওপর বসুন্ধরা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নামের আরেকটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার কাজ এগিয়ে নিচ্ছে।

এছাড়া চট্টগ্রামে সরকারি মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৫০০ একর জমিতে ‘বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোন’ প্রতিষ্ঠায় বসুন্ধরাকে জমি বরাদ্দ দিয়েছে বেজা।