প্রকল্প পরিচালকদের প্রকল্প এলাকায় থাকার নির্দেশনা

প্রকল্প পরিচালকদের সংশ্লিষ্ট প্রকল্প এলাকায় অবস্থান করে উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Feb 2019, 12:53 PM
Updated : 13 Feb 2019, 12:53 PM

বুধবার খুলনা বিভাগে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি সংক্রান্ত পর্যালোচনা সভা মন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন।

খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ণ বিভাগ (আইএমইডি) এই পর্যালোচনা সভার আয়োজন করে।

সভায় পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সরকার চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য এক লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশব্যাপী এক হাজার ৫০৭ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে খুলনা বিভাগে তিন হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, “চলমান প্রকল্পগুলোর সঠিক মান নিশ্চিত করতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা দরকার। যাতে সকল প্রকল্প যথাযথ মান বজায় রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করা যায়। এ জন্য প্রত্যেক প্রকল্প পরিচালককে প্রকল্প এলাকায় থাকতে হবে।

“সরকার জনগণের জন্যই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করছে। তাই প্রকল্পের কাজ এমনভাবে করতে হবে যাতে জনগণ এর সুফল ভোগ করতে পারে।”

একজন একাধিক প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে থাকতে পারবেন না বলেও জানান মন্ত্রী।

“আমরা চাই প্রতিটি প্রকল্প গুণগতমান বজায় রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়িত হোক। এজন্য প্রকল্পের পরিচালক যিনি থাকবেন তাকে প্রকল্প শেষ হওয়ার পরও দায়িত্ব নিতে হবে, যেন ওই প্রকল্পের মান নিয়ে জনগণের মনে কোনো সংশয় না থাকে।

সভায় খুলনা বিভাগের ৫৮টি প্রকল্প পর্যালোচনা করা হয়। এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী যশোর খুলনা মহাসড়ক নির্মাণ, কয়রা-পাইকগাছা এলাকায় ৫৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজসহ আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দেন।

বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে পর্যালোচনা সভায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডির সচিব আবুল মনসুর মো. ফয়েজউল্লাহ ও মহাপরিচালক মো. সিদ্দিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মন্ত্রী খুলনা নগরীতে ‘১৯৭১: জেনোসাইড-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’ পরিদর্শন করেন।

বিকালে মন্ত্রী বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় নির্মাণাধীন খানজাহান আলী বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন।