এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমুদ্রগামী জাহাজ নির্মাণ ও মেরামত কারখানা স্থাপন করা হবে।
প্রায় এক লাখ টন ধারণ ক্ষমতার এই ডক ইয়ার্ড নির্মাণে অর্থায়ন করবে বিশ্ব ব্যাংক। চট্টগ্রাম বন্দরের বিপরীতে কর্ণফুলী মেরিন একাডেমির পাশে নির্মাণ করা হবে এই ডক ইয়ার্ড।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই অঞ্চলটিতে প্রায় এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ( ১৪ কোটি ডলার) বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। এর সিংহভাগ অর্থ যোগান দেবে বিশ্বব্যাংক।
মার্চের মধ্যে এখানকার জেটি নির্মাণের কাজ শেষ হবে। চট্টগ্রামের আনোয়ারায় অবস্থিত এই ড্রাই ডকটি হবে প্রায় ১ লাখ টন ক্ষমতা সম্পন্ন। এই অর্থনৈতিক অঞ্চলটি হবে জাহাজ নির্মাণ এবং জাহাজ রক্ষণাবেক্ষণ খাতে দেশের প্রথম বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল।
চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটের ধারণা ক্ষমতা না থাকার কারণে বড় আকারের জাহাজগুলো মেরামতে বিভিন্ন দেশের প্রতি নির্ভর করতে হয়।
প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত স্থানে ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি সড়ক, বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনের কাজ শেষ করেছে। প্রাথমিক ভাবে এতে ৩ লোকের কর্মসংস্থান হবে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
চট্টগ্রামে বর্তমানে একটি মাত্র সরকারি ড্রাই ডক রয়েছে, যা বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীকর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে। সত্তর দশকের পর থেকে কন্টেইনার জাহাজ এর প্রচলন শুরু হওয়ায় জাহাজগুলোর অবকাঠামোগত পরিবর্তন হয়ে প্রশস্থতা বৃদ্ধি পায়। ফলে পূর্বের জাহাজগুলির ধারন ক্ষমতা বা প্রশস্থতা বিবেচনায় রেখে বানানো ড্রাই ডকটিতে বর্তমান জাহাজগুলি ডক করা সম্ভবপর হচ্ছে না। ডকটিতে ১৮ হাজার ধারন ক্ষমতার বেশী জাহাজ নির্মাণ বা মেরামতের সুযোগ নেই এবং অন্যান্য সুবিধাও চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।
এ সব থ্য তুলে ধরে লাইসেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে কর্ণফুলী ড্রাই ডক বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ রশীদ বলেন, আগামী বছর হতে বৃহৎ জাহাজ নির্মাণে বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং এখান থেকে প্রতিবছর কমপক্ষে ১২ কোটি ডলার আয় করা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানের বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, জাহাজ নির্মাণ খাতে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ অবদান রাখতে শুরু করেছে এবং এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
লাইসেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম বক্তব্য দেন।