বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের আদলে প্রায় এক লাখ টন ধারণ ক্ষমতার এই ডক ইয়ার্ড নির্মাণে অর্থায়ন করবে বিশ্ব ব্যাংক। চট্টগ্রাম বন্দরের বিপরীত দিকে কর্ণফুলি মেরিন একাডেমির পাশে নির্মিত হবে এই ডক ইয়ার্ড।
বৃহস্পতিবার কর্ণফুলি ড্রাই-ডক স্পেশাল ইকোনমিক জোনের লাইসেন্স হস্তান্তর করবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ- বেজা।
বেজার পক্ষ থেকে জানানো হয়, চট্টগ্রামে অবস্থিত একমাত্র সরকারি ড্রাই ডক চিটাগাং ড্রাই ডকে ১৮ হাজার ডিডব্লিউটি ধারণক্ষমতার চেয়ে বড় জাহাজ নির্মাণ বা মেরামতের সুযোগ নেই। এর বিপরীতে নতুন ড্রাই ডকটির ধারণ ক্ষমতা হবে এক লাখ টন।
বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নতুন এই ডক ইয়ার্ড নির্মাণের উদ্যোগ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য অবশ্যই একটা সুখবর। এটি নির্মিত হলে সমুদ্র পথে পণ্য পরিবহণের সক্ষমতা আরও বাড়বে।
“যদিও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগে ইতোমধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্যজটের সমস্যা পুরোপুরি কেটে গেছে। তবে এ ধরনের ইয়ার্ড নির্মাণের ফলে বড় জাহাজ আগমণ আরও সহজ হবে।”
ইতোমধ্যেই এই ডক ইয়ার্ডের দুটি জেটি নির্মাণ শুরু হয়েছে। ডক ইয়ার্ড কেন্দ্রিক সড়ক নির্মাণ ও বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থাও চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বেজা।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, প্রস্তাবিত এই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল জাহাজ নির্মাণ শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। নদীমাতৃক বাংলাদেশে যোগাযোগ ও পণ্য পরিবহনে প্রচুর পরিমাণে সমুদ্রযান প্রয়োজন। এই শিল্পাঞ্চল স্থাপিত হলে সেই চাহিদা পূরণের পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে।
ডক ইয়ার্ড সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ও ব্যক্তি মালিকানাধীন বাংলাদেশ পতাকাবাহী ৩০টি জাহাজের পাশাপাশি বিদেশি রেজিস্ট্রেশনেও বাংলাদেশি মালিকানাধীন অনেক জাহাজ রয়েছে। প্রতি দুই-তিন বছর পর পর সমুদ্রগামী এসব জাহাজ মেরামতের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। চট্টগ্রামে বর্তমানে যে সরকারি ডক ইয়ার্ড রয়েছে সেখানে বড় জাহাজ মেরামত সম্ভব হয় না। পাশাপাশি কাজের জটের কারণে ছোট জাহাজ মেরামতেও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের দ্বারস্ত হন মালিকরা।