কম আয়ের মানুষের জন্য ফ্ল্যাট বানান, পৃষ্ঠপোষকতা করব: মন্ত্রী

বিপন্ন ও নিম্ন আয়ের মানুষের আবাসনের জন্য এইখাতের উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা দেওয়ার কথা বলেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Feb 2019, 12:04 PM
Updated : 6 Feb 2019, 04:34 PM

‘গুটি কয়েক’ আবাসন ব্যবসায়ীর অনিয়ম, প্রতারণামূলক কাজের কারণে এই খাতের দুর্নাম হচ্ছে বলেও ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন তিনি।

বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পাঁচ দিনব্যাপী আবাসন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী।

ব্যবসা করার পাশাপাশি বিপন্ন ও স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ভূমিকা রাখতে আবাসন ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “রিহ্যাবের নেতারা প্রস্তাব দিয়েছে পূর্বাচলে জায়গার ব্যবস্থা করা হলে তারা স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ফ্ল্যাট করে দেবেন।

“এটি একটি ভালো প্রস্তাব। এটা বিবেচনা করে দেখব। আমরা বেসরকারি আবাসন ব্যবস্থাকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে এগিয়ে নিতে চাই। ”

আবাসন ব্যবসায়ীদের ফাঁকিবাজির মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “অনেকে বাড়িতে কমন স্পেসটি রাখেন না। নির্ধারিত প্ল্যানের বাইরে গিয়ে ছোট ছোট খোপের মতো রূম তৈরি করছেন। নির্ধারিত কমন স্পেসগুলোকে ব্লকড করছেন, গ্যারেজগুলোকে ব্লকড করছেন, রাস্তার দিকে এগিয়ে বাড়ি নির্মাণ করছেন।

“পরে যারা এই বাড়ি কেনেন তারা রাজউক বা অন্যান্য সরকারি সংস্থার কাছে ধরা পড়ছেন। তখন আর ডেভেলপারদের খুঁজে পাওয়া যায় না। নিজের টাকায় ফ্ল্যাট কিনে ভোক্তারা অসহায় অবস্থায় পড়েন।”

আইনি অপ্রতুলতার কারণে অনেক সময় আবাসন খাতের এসব দুর্নীতি ধরাও কঠিন হয়ে যায় বলে মন্তব্য করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, “আইন এতই অপ্রতুল যে এদের (অসাধু আবাসন ব্যবসায়ী) ধরাও কঠিন হয়ে যায়। ফলে যারা ফ্ল্যাট কিনেছেন বা বসবাস করছেন তারাই বিপদে পড়েন। আমাদের কিছু অসাধু কর্মচারী আছেন যারা প্ল্যানের ব্যত্যয় ঘটতে দেখলেও সেদিকে দৃষ্টি দেন না। এরাই কিন্তু এই খাতের সুনাম নষ্ট করছে।”

এবারের মেলায় মোট ২০২টি স্টল থাকছে। আবাসন কোম্পানি ছাড়াও এবার ২০টি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস কোম্পানি এবং ১৪টি অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে মেলায়। মেলা চলাকালে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সময়ে টিকেট কেটে ঘুরে দেখা যাবে।

রিহ্যাবের প্রেসিডেন্ট আলমগীর শামসুল আলামিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

প্রবেশ টিকেট ও র‌্যাফেল ড্র

আয়োজকরা জানিয়েছেন, মেলায় দুই ধরনের টিকিট থাকছে। একটি ৫০ টাকা মূল্যের সিঙ্গেল এন্ট্রি; অপরটি ১০০ টাকা মূল্যের মাল্টিপল এন্ট্রি। মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিটে একজন দর্শনার্থী মেলার সময় ৫ বার প্রবেশ করতে পারবেন।

এন্ট্রি টিকেটের রাফ্রেল ড্র মেলার শেষ দিন ১০ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে।

রাফেল ড্র এর ১ম পুরস্কার-একটি প্রাইভেট কার, দ্বিতীয় পুরস্কার একটি মোটরসাইকেল, তৃতীয় পুরস্কার একটি ফ্রিজ, চতুর্থ পুরস্কার-একটি ৪৩ ইঞ্চি এলইডি টেলিভিশন, পঞ্চম পুরস্কার-একটি ওয়াশিং মেশিন, ষষ্ঠ পুরস্কার- একটি ডিপ ফ্রিজ, সপ্তম পুরস্কার- একটি মোবাইল ফোন, অষ্টম পুরস্কার- একটি মোবাইল ফোন, নবম পুরস্কার- একটি মাইক্রো ওভেন এবং দশম পুরস্কার- ১টি এয়ার কুলার।