তিনি বলেছেন, “এখন আমাদের ভালো সময় যাচ্ছে। তবে মাঝে কিছুদিন এই সংস্থার সঙ্গে খারাপ সময় পার করেছিলাম। এই অবস্থা এখন আর নেই।”
বৃহস্পতিবার বিশ্ব ব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি চিমিয়াও ফানের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের একথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
ছয় বছর আগে পদ্মা সেতুতে অর্থায়নে বিশ্ব ব্যাংক চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে পিছু হটেছিল। তাদের সঙ্গে দীর্ঘ টানাপড়েনের পর সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণের পথে এগিয়ে যায়।
তবে তারপর বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে তিক্ততার অবসান ঘটার কথা সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও বলেছিলেন। বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম (সদ্য সাবেক) সফরে এসে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসাও করেছিলেন।
বিশ্ব ব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি চিমিয়াও ফান ঢাকায় তার দায়িত্ব পালনের মেয়াদ শেষে বিদায়ী সাক্ষাতের জন্য শেরে বাংলা নগরের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) অর্থমন্ত্রীর দপ্তরে যান।
মুস্তফা কামাল বলেন, “বর্তমানে ঢাকাতে বিশ্ব ব্যাংকের যে টিম আছে, তারা বাংলাদেশের চাহিদা বোঝেন। সামনে বাংলাদেশের সকল ধরনের উন্নয়নে বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তা আরও বাড়বে।”
বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান গতিচিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, “উন্নয়নশীল দেশের প্রাথমিক স্বীকৃতি পাওয়ার পর বিদেশি উদ্যোক্তাদের আস্থার জায়গা এখন বাংলাদেশ। বাংলাদেশ উজ্জ্বল সম্ভাবনাময়ী অর্থনীতির দেশ।
“আমাদের সক্ষমতা এখন অনেক বেড়েছে। এখন আমরা ঋণ প্রদানকারীর সাথে দর কষাকষি করে তাদের শর্তপূরণ করার সক্ষমতা রাখি। তাই বিশ্ব ব্যাংকসহ সবাই ঋণ দিতে আগ্রহী।”