বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ৩৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্ট ঢাকা’কে ওই কাজ দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
কমিটির আহ্বায়ক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, “কক্সবাজারে ট্রেনে অতি দ্রুত যাওয়া যাবে। এখন আর কোনো সমস্যা নেই। আমাদের মূল সমস্যা ছিল ভূমি অধিগ্রহণ। এখন আর সমস্যা নেই, প্রয়োজনীয় জমি আমরা পেয়ে গেছি। কাজও শুরু হয়ে গেছে।”
২০২২ সালে এ প্রকল্প শেষ করার কথা রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ হবে বলে আমরা আশা করছি।”
দোহাজারী থেকে কক্সবাজার ও রামু হয়ে মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন ঘুমদুম পর্যন্ত ১২৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয় ২০১০ সালের জুলাই মাসে।
১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকার এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রামের সঙ্গে বান্দরবান ও কক্সবাজারের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে।
এই ব্যয়ের মধ্যে ৬ হাজার ৩৪ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে দেওয়া হবে। বাকি ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের জানান, চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারায় ৫৯০ মেগাওয়াট (নেট) ক্ষমতার গ্যাস ভিত্তিক কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড কোং লিমিটেডের প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। সরকার ২২ বছর মেয়াদে এ কেন্দ্রের বিদ্যুত কিনবে।
এছাড়া বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে বাস্তবায়নাধীন ‘প্রি-পেমেন্ট মিটারিং প্রজেক্ট ফর ডিস্ট্রিবিউশন কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ জোন’ প্রকল্পের আওতায় এক লাখ ৫০ হাজার ৫৭৫টি প্রি-পেমেন্ট মিটার এবং খুচরা যন্ত্রাংশ কেনার প্রস্তাবেও অনুমোদন দেয়া হয়েছে। চীনা কোম্পানি সিংজে স্টার ১৩৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় ওইসব সরঞ্জাম সরবরাহের কাজটি পেয়েছে।