দেড়শ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে নীলফামারীতে

নীলফামারীর সৈয়দপুরে দেড়শ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে চীনের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (পিডিবি)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Jan 2019, 12:28 PM
Updated : 22 Jan 2019, 12:28 PM

আগামী দেড় বছরের মধ্যে ১৮ একর জমির ওপর স্থাপিত এই বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে গত ২৯ অগাস্ট সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে ইপিসি ঠিকাদার নিয়োগ সংক্রান্ত প্রস্তাব পাস হয়েছিল।

আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে সর্বনিম্ন দরদাতা চীনের ডংফ্যাং ইলেকট্রিক ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশনকে কাজ দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার বিদ্যুৎভবনে ডংফ্যাংয়ের সঙ্গে চূড়ান্ত নির্মাণ চুক্তি করে পিডিবি।

পিডিবির পক্ষে সচিব মিনা মাসুদুজ্জামান এবং ডংফ্যাংয়ের পক্ষে প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি ম্যানেজার উ ইয়ানজিয়াং চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই এলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ সচিব আহমেদ কায়কাউস, পিডিবির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয়ের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ৩০২ কোটি এবং পিডিবি ২১৫ কোটি টাকা দেবে। বাকি ব্যয়ভার আন্তর্জাতিক ঋণের মাধ্যমে নেওয়া হবে। ২০২১ সালের জুনে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদনে যাবে।

তেলভিত্তিক সিম্পল সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে ব্যবহার করা হবে জার্মানির সিমেন্স কোম্পানির গ্যাস টার্বাইন।

অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, “বিভিন্ন কারণে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সাশ্রীয় খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদান করা সম্ভব হবে। ভারতের নুমালিগড় থেকে উত্তরাঞ্চলে পাইপলাইনের মাধ্যমে যে তেল আমদানি করা হবে সেটা সরাসারি পাবে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র।

“ফলে চট্টগ্রাম কিংবা ঢাকা অঞ্চলের তেলের মুখাপেক্ষী থাকতে হবে না। আগামী দেড় বছরের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্র যখন নির্মাণ হয়ে যাবে ভারত থেকে পাইপলাইনের তেল আসাও তখন শুরু হবে। ফলে জ্বালানি নিয়ে তাদের কোনো সঙ্কটে পড়তে হবে না।”

জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই এলাহী বলেন, খুবই সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। এটি নির্মাণও করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে খুব সাশ্রীয় খরচে। জাতীয় গ্রিডের ভারসাম্যের জন্য এধরনের বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রয়োজন।